ভোর হলেই ঠান্ডার আমেজ। বাইক, ট্রেন বা সাইকেলে যেতে হলে হাল্কা চাদর মাস্ট। রোদের তেজে গরম উধাও হলেও, সন্ধে হলেই শিরশিরানির ভাব। রাত বাড়লে তো টেনে নিতে হচ্ছে চাদরও।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই শীতের আমেজ রাজ্যে। বুধবার রাজ্যের তিন জায়গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী তিন দিন আরও নামতে পারে পারদ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে বাড়তে পারে শীতের আমেজ। বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নামল ২০.১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, তিন জেলাতেই বুধবার তাপমাত্রার পারদ নামল অনেকটা। দার্জিলিয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিকের থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। মালদহ, কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ২০.২ এবং ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম।
দক্ষিণেও বেশির ভাগ জেলাতেই বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। হাওড়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। কৃষ্ণনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। মু্র্িশদাবাদ, বোলপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বর্ধমানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়ার যা স্বাভাবিকের থেকে দু’ডিগ্রি সেলসিয়াস কম।