অগ্নিবীরের আবেদনে জাতি শংসাপত্রের উল্লেখ, বিতর্কের মাঝেই পালটা জবাব সেনার

অগ্নিপথ (Agnipath) প্রকল্প নিয়ে বিক্ষোভের আঁচ কমে গেলেও বিতর্ক থামেনি। মঙ্গলবার আপের রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় সিং অভিযোগ এনেছেন, অগ্নিবীর নিয়োগ করার আগে ধর্ম এবং জাতির পরিচয় চাওয়া হচ্ছে আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে। তিনি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগে ব্যক্তির জাতি পরিচয় জানতে চাওয়া হত না। মোদি সরকারকে খোঁচা দিয়ে সঞ্জয়ের মন্তব্য, আসলে ‘জাতিবীর’ বানাতে চাইছেন মোদি (Narendra Modi)। এই মন্তব্যের জবাব দেওয়া হয়েছে সেনাবাহিনীর তরফ থেকেও।

সেনার তরফে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়লে কাস্ট সার্টিফিকেট চাওয়া হয়। সবসময়ই ধর্মীয় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। অগ্নিপথ প্রকল্পের (Agnipath Scheme) জন্য আলাদা করে কিছু নিয়ম তৈরি করা হয়নি। সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, যদি কর্তব্যরত অবস্থায় কোনও সেনা শহিদ হন, তাহলে তাঁর শেষকৃত্য করে সেনা। সেই কারণেও ধর্মীয় পরিচয় জেনে রাখা দরকার। তাহলে ধর্মীয় রীতি মেনে শেষকৃত্য করা যায়।

অগ্নিপথ প্রকল্পে আবেদন করতে কী কী নথিপত্র লাগবে, সেই বিবরণ দেওয়া একটি তালিকার ছবি টুইট করেছেন সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। সেই সঙ্গে তিনি লিখেছেন, ‘মোদি সরকারের নোংরা চেহারা দেশবাসীর সামনে ফুটে উঠেছে। দলিত, অনগ্রসর শ্রেণি বা জনজাতি মানুষকে কি সেনাবাহিনীর যোগ্য মনে করছেন না মোদি? ইতিহাসে প্রথমবার ভারতীয় সেনায় (Indian Army) যোগদানের জন্য প্রার্থীর জাতি পরিচয় জানতে চাওয়া হচ্ছে। মোদিজি আপনি অগ্নিবীর তৈরি করতে চান নাকি জাতিবীর?’ প্রসঙ্গত, একই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে জেডিইউও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − five =