নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: বেআইনিভাবে বালি পাচার রুখতে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও কাঁকসাজুড়ে বেআইনিভাবে বালি পাচার চলছে বলে অভিযোগ করেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী আদোও দায়িত্বশীল কিনা, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেত্রী। তিনি দাবি করেন, রাজ্যের মানুষ জানেই না পঞ্চায়েত মন্ত্রীর নাম। মঙ্গলবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী সদস্যদের সংবর্ধনা সভায় এসে একথা বলেন তিনি। তৃণমূলকে রাজ্যের মানুষ গোরু চোর, কয়লা চোরের দল বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। তাঁর দাবি, মানুষ অতিষ্ট বালি পাচারের জন্য।
এদিন গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী বাম কর্মী তথা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সংবর্ধনা জানান বাম নেতৃত্ব। এদিন সভা মঞ্চ থেকে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের এই পার্টিকে নেতাদের পার্টি বলা হয়। কারণ খেটে খাওয়া মানুষের লড়াইতে তাঁরা নেতৃত্ব দেন। তাই এটা নেতাদের পার্টি। এখানে নেতা মানে কোনও কমিটির নেতা না। যাঁরা খেটে খাওয়া মানুষের হকের লড়াইতে সামনের সারিতে থাকেন এবং নেতৃত্ব দেন তাঁরা সবাই নেতা। তাই তাদের পার্টিকে নেতাদের পার্টি বলা হয়।
তিনি আরও জানান, যাঁদের সংবর্ধনা জানানো হয়েছে, তাঁরা হলেন দলের লড়াইয়ের প্রতীক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে কারা জিতল কারা হারল, সেটা বড় কথা নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা লড়াই করেছিলেন। লড়াই করে যাঁরা জিতেছেন, তাঁদের কী কাজ করতে হবে আর যাঁরা হেরেছেন, তাঁদের আগামী দিনে কী কাজ করতে হবে, সেই বিষয়গুলি দলের কর্মীদের বোঝানো হয়েছে।
যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের শুধু নয়,সংবর্ধনা সকল মানুষকে দেওয়া হয়েছে, যাঁরা নির্বাচনে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন, তাঁদের সকলকেই সংবর্ধনা মঞ্চ থেকে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী কাঁকসা ব্লকের সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয় পানাগড় বাজারের কমিউনিটি হলে। এদিন সংবর্ধনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য বীরেশ্বর মণ্ডল, পঙ্কজ রায় সরকার, অলোক ভট্টাচার্য, রাজ্য নেত্রী বন্দনা মণ্ডল সহ কাঁকসা ব্লকের বাম কর্মী-সমর্থকরা।