বাঙালির পাতে যেন আগুন একদিকে পেট্রোল- ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের আকাশ ছোঁয়া মূল্য বৃদ্ধি অন্যদিকে মুরগির মাংসের দামও ঊর্ধ্বমুখী। এক কথায় রোজকার বাজারে মাথায় হাত ভোজন রসিক আপামোর বাঙালির। খাসির মাংস তো দূরে থাক বেশ কিছুদিন ধরে দেশী মুরগি এবং বয়লার মুরগির দামও লাগাতার বেড়ে চলছে। মাছে-ভাতে বাঙালি হলেও রোজ না হলেও সপ্তাহে দু-একদিন বাঙালির পাতে একটু মাংস না হলে চলে না। কিন্ত সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুরগির মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সপ্তাহের একটা দুটো দিন পরিবারের কচিকাঁচাদের নিয়ে মাংস ভাত খাওয়া যেন বাঙালির কাছে এখন বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু না। তার কারণ বয়লার মুরগির দাম ২৬০ টাকা দেশী মুরগির দাম প্রায় ৪০০ টাকা। অশোকনগর গোলবাজারে ঢুঁ – মেরেছিলাম কথা বলেছিলাম মুরগির মাংস বিক্রেতা এবং ক্রেতাদের সঙ্গে। গোলবাজারের এক মুরগির মাংস বিক্রেতা শুভজিৎ কর্মকারের জানিয়েছেন ক্রেতার সংখ্যা খুব কম বাজার অনুযায়ী ক্রেতার সংখ্যা আগের নিরিখে অর্ধেক।মূলত কি কারণে মুরগির মাংসের দাম বেড়েছে প্রশ্ন করা হলে বিক্রেতা জানায় শুনেছি মুরগির খাবারের দাম বেড়েছে।এছাড়াও আমরা বেশ কয়েকজন মুরগির মাংস ক্রেতাদের সঙ্গে। এক যোগে তারা জানিয়েছেন খাসির মাংস তো দূরে থাক সপ্তাহে একদিন মুরগির মাংস খেতাম কিন্ত যেভাবে মুরগির মাংসের দাম বাড়ছে তাতে করে আগামী দিনে মুরগির মাংসও খাওয়া সম্ভব হবে না। অশোকনগরের বাসিন্দা গুপি মজুমদার মাংস কিনতে এসে বলেন একাধারে পেট্রোল-ডিজেল, রান্নার গ্যাস-ভোজ্য তেলের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি তার মধ্যে আবার মুরগির মাংসের দাম মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে এরকমটা চলতে থাকলে আগামী দিনে মাংস খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে মধ্যবিত্তের ঘরে।