কলকাতা: শিস মহল। যার একপ্রান্তে একটা মোমবাতি জ্বালালেই ঝলমলিয়ে ওঠে গোটা মহল। কাচে আলোর সেই প্রতিফলন ও প্রতিবিম্বে তৈরি হয় এক মায়াবি পরিবেশ, সেই শিস মহলই এবার দর্শকরা দেখতে পাবেন কলকাতার বুকে। রাজস্থানের বিভিন্ন প্যালেসে যাঁরা গিয়েছেন, তাঁরা এই রূপ উপভোগ করেছেন ঠিকই, কিন্তু যাঁরা যাননি তাঁরা কেন বঞ্চিত থাকবেন?
এমনই ভাবনা থেকে ৫৪ বছরে মহম্মদ আলি পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি কলকাতার বুকেই তুলে আনছে একটুকরো শিস মহল। উর্দু শব্দ ‘শিস ম্যাহেল’-এর অর্থ কাচের মহল।রাজা-মহারাজাদের প্রাসাদে এই শিস মহলের চল ছিল। কাচ দিয়ে তৈরি এই মহলের স্থাপত্যশৈলী এমনই যার কোনও এক প্রান্তে একটা দেশলাই কাঠি জ্বালালেও, সেই আলো লক্ষ লক্ষ কাচে প্রতিফলিত হয় মহলকে আলোকিত করে। শুধু আলোই নয়, নানা রকমের হীরে, দামি পাথরও সেখানে ব্যবহার হত। আলোক বিচ্ছুরণে যা মায়াবী পরিবেশ তৈরি করত বলেই জানা যায়।
পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, শুধু আয়নার প্রতিফলনই নয়, অপরূপ মণ্ডপ সজ্জাও এবার দর্শকদের মন কেড়ে নেবে। মহম্মদ আলি পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্রকুমার শর্মা জানান, ‘আমরা এই বছর শিস মহল থিম হিসেবে উপস্থাপন করছি। কারণ অনেক মানুষ আমাদের অনুরোধ করেছিলেন তাঁরা রাজস্থান যেতে পারেননি।কিন্তু কলকাতায় বসে সেই স্থাপত্যের স্বাদ নিতে চান তাঁরা। আমরা আশাবাদী এই থিম দর্শনার্থীদের রাজকীয় অনুভূতি দেবে।’
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক অশোক ওঝা বলেন, ‘হাজার হাজার কাচের ঝিকিমিকি প্রতিফলন শিসমহল ও মণ্ডেপর চারপাশ আলোকিত করবে, প্রাণবন্ত করে তুলবে। প্রাসাদের ইতিহাসকে পুনরুজ্জীবিত করবে।’