ম্যাকলারেনের গোল, বাজিমাত মোলিনার, টানা পাঁচ হার ইস্টবেঙ্গলের

কোচ বদলে যদি রাতারাতি ভাগ্য ফিরে যেত, তাহলে ফুটবল অভিধান বলে আর কিছু থাকত না। লাল হলুদ জার্সিতে অস্কার ব্রুজোর অভিষেক সুখকর হল না। তবে লজ্জার হাত থেকে বাঁচলেন ইস্টবেঙ্গলের নবাগত কোচ। আন্ডারডগ হিসেবে নামলেও শুরুটা খারাপ করেনি ইস্টবেঙ্গল। প্রথমদিকে লড়াই সেয়ানে সেয়ানে ছিল। মাঝমাঠ দখলের লড়াইয়ে নামে ইস্ট-মোহন। কিন্তু আধিপত্য অনেক বেশি ছিল বাগানের। অনবদ্য গ্রেগ স্টুয়ার্টের। পুরো ম্যাচ পরিচালনা করলেন স্কটিশ তারকা। ডুরান্ড কাপে ভাল খেললেও, আইএসএলে এখনও পর্যন্ত ফিকে মাদি তালাল। প্রথমার্ধে একাধিক সুযোগ পায় বাগান। প্রথম চান্স ম্যাচের ২ মিনিটে। মনবীরের পাসে পা ছোঁয়ালেই গোল। কিন্তু পৌঁছতে পারেনি ম্যাকলারেন। ১৮ মিনিটে ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগ মিস অজি বিশ্বকাপারের। স্টুয়ার্টের পাস ফাঁকা গোলের সামনে পেয়েও ইস্টবেঙ্গল কিপারের গায়ে মারেন ম্যাকলারেন। তার এক মিনিট পরই লিস্টনের কর্নার থেকে মনবীরের হেড অফসাইডের জন্য বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচের ২৫ মিনিটে আবার মিস। স্টুয়ার্টের কর্নার থেকে মনবীরের হেডে গোললাইন সেভ হেক্টর ইউস্তের। প্রথম ৪৫ মিনিট দাপট অনেক বেশি ছিল বাগানের। প্রথমার্ধে মাত্র দুটো সুযোগ ইস্টবেঙ্গলের।‌ তাও হাফ চান্স। ম্যাচের ১২ মিনিটে হেড করে বল নামিয়ে ক্লেইটনের ডান পায়ের শট বাঁচান বিশাল কাইত। ম্যাচের ২৬ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে মাদি তালালের মিস।

বিরতির পর পুরোপুরি একপেশে ম্যাচ। লাল হলুদের মাঝমাঠ বলে কিছুই ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে কোনও পজিটিভ আক্রমণ নেই ইস্টবেঙ্গলের। বরং মনবীর, লিস্টনরা একাধিক সুযোগ নষ্ট করে। নয়তো গোলের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। ম্যাচের ৬০ মিনিটে সরাসরি গিলের হাতে মারেন লিস্টন। ৮৪ মিনিট স্টুয়ার্টকে ফাউল করেন আনোয়ার। ন্যায্য পেনাল্টি। কিন্তু বাগান ফুটবলারদের আবেদনে কর্ণপাত করেনি রেফারি। অবশ্য তার ৪ মিনিট পরই প্রায়শ্চিত করেন তেজাস। ৮৮ মিনিটে পরিবর্ত দিমিত্রিকে ফাউল করেন প্রভসুখন। পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করেন দিমিত্রি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 3 =