শুকনো এবং ভেজা ময়লা নিয়ে কলকাতাবাসীকে কড়া বার্তা ফিরহাদের

শুকনো ময়লা, ভেজা ময়লা যা একটা ফেলার কথা সবুজ বালতিতে আর একটা নীল বালতিতে সেই হিসেবে এবার গড়বড় হলে বড় শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিলেন কলকাতা পুরসভার ময়ের তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানালেন, পুরসভার আইন না মেনে ময়লা ফেললে ফাইন হিসেবে গুনতে হবে বড় অঙ্কের টাকা। আর মেয়রের এই ঘোষণা বেহালায় ১২১ ওয়ার্ড পরিদর্শনের সময়। তখনই তিনি খতিয়ে দেখেন, বাসিন্দারা পুরসভার সবুজ এবং নীল বালতি ঠিকঠাকভাবে ব্যবহার করছেন কিনা সে ব্যাপারে অর্থাৎ শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা আলাদা করে ফেলছে কিনা। এরই পাশাপাশি পুরসভার কম্প্রেসার মেশিনে শুকনো ময়লা এবং ভেজা ময়লা কীভাবে পৃথক করা হয় তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। আর এই রেশ ধরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এও জানান, ‘মানুষ যদি এই নিয়ম মানে ধাপার মাঠ আর তৈরি হবে না। উচ্চ মাধ্যমিকের পরে আমরা মানুষকে সচেতন করব যেন পুরসভার এই নিয়ম মেনে ময়লা ফেলে মানুষ। যারা মানবে না, তাদের বাড়ি থেকে ময়লা কালেক্ট করা হবে না।’ এরই পাশাপাশি তিনি এও জানান, রাস্তায় ময়লা ফেলে বড় জরিমানা করা হবে। এক্ষেত্রে বলে রাখা শ্রেয়, কলকাতাকে পরিষ্কার রাখতে কলকাতা পুরসভা ১৪৪টি ওয়ার্ডেই পর্যাপ্ত ডাস্টবিন বসানো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ফেরুল পরিষ্কারের জন্য ১০০টি ওয়ার্ড পুরসভাকে কোনও অর্থ দিত না। ৪৪টি ওয়ার্ডকে তা দিতে হত।
আদতে শহরকে স্বচ্ছ রাখার জন্য বেশ কিছুদিন ধরেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে কলকাতা পুরসভা। শহরের যত্রতত্র ময়লা ফেললে আগে পুরসভার তরফ থেকে ৫০ টাকা জরিমানা করা হত। এবার এই অঙ্কটাই এক ধাক্কায় মেয়র বাড়িয়েছেন কয়েক গুণ। এখন শহরের যেখানে সেখানে ময়লা ফেললে ৫ হাজার টাকা জরিমান করা হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র। এই প্রসঙ্গে ফিরহাদ এও জানান, ‘কলকাতাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পুরসভার তরফে যাবতীয় পদক্ষেপ করা হয়েছে। এরপরও মানুষের মধ্যে অসচেতনতা দেখা যাচ্ছে। আর সেই কারণেই বাড়ানো হয়েছে এই জরিমানার অর্থ।‘ পাশাপাশি পুরসভার তরফ থেকে এ বার্তাও স্পষ্ট ভাবে দেওযা হয়েছে যে, ফ্ল্যাট থেকে রাস্তায় জঞ্জাল ছুড়ে ফেলা বা পোষ্যের দেহ রাস্তার ধারের জঞ্জালেই ফেলে দেওয়া এসব ঘটনা বন্ধ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − 7 =