নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: ‘নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান’। বর্তমানে বাঁকুড়াবাসী গুজরাতিদের ‘নবরাত্রি’ পালনের অনুষ্ঠান দেখলেই রবি ঠাকুরের ওই কথাগুলোই যেন বারবার মনে পড়ে। প্রবাসী গুজরাতিদের সংগঠন ‘শ্রী কুচ কাডওড়া পাতিদার সমাজে’র উদ্যোগে ‘নবরাত্রি’ উপলক্ষে শহরের লালবাজারে প্রতিদিন পূজাপাঠের পাশাপাশি সন্ধ্যায় ঐতিহ্যবাহী ‘ডাণ্ডিয়া’ নাচে অংশ নিচ্ছেন আট থেকে আশি সকলেই।
আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, স্বাধীনতার প্রায় অব্যবহিত পরেই ১৯৬০ সাল নাগাদ মূলত কাঠের ব্যবসার কারণে বেশ কয়েকজন গুজরাতি বাঁকুড়ায় আসেন। পরে নিজের রাজ্যে আর ফিরে না গিয়েই এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন তাঁরা। বর্তমানে তাঁদের ৪০টি পরিবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও নিজেদের সংßৃñতিকে ভুলে যান। ঐতিহ্যের টানে নবরাত্রি উপলক্ষে প্রত্যেকেই বাঁকুড়া শহরের লালবাজারে শ্রী কুচ কাডওড়া পাতিদার সমাজে’র অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ছুটে আসেন।
ওই সংগঠনের প্রবীণ সদস্য প্রবীণ প্যাটেল বলেন, ‘১৯৬০ সালে আমার ঠাকুরদারা বাঁকুড়ায় আসেন। পরবর্তী সময়ে সেই সংখ্যাটা বাড়লে ১৯৮২ সালে নবরাত্রি পালনের অনুষ্ঠান শুরু হয়।’ নিজেদের সংßৃñতির সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের পরিচয় ঘটাতেই এই উদ্যোগ বলে তিনি জানান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উদয় প্যাটেল, রীনা প্যাটেলরা বলেন, ‘আমাদের জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই বাঁকুড়াতেই। এখন আমরা মনে প্রাণে বাঙ্গালী হলেও নিজেদের গুজরাতি ঐতিহ্য আর সংßৃñতিকে ধরে রেখেছি। মহালয়ার পর দিন থেকে শুরু হওয়া নবরাত্রি পালনের মাধ্যমেই আমরা বর্তমান প্রজন্মের কাছে গুজরাতি রীতি, নীতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।’