১৭তম ওভারে মাস্টারস্ট্রোক; দুর্দান্তভাবে শ্রীলঙ্কাকে হারাল ভারত

পরিসংখ্যান বলছে, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২০০-র উপর রান করে কখনও হারেনি ভারত। এই পরিসংখ্যান বজায় রইল। তবে শ্রীলঙ্কা ব্যাটাররা যে ভাবে শুরু করেছিলেন, তাতে আশঙ্কা জাগে, আদৌ এই রেকর্ড ভারতের পক্ষে থাকবে তো! ১৭তম ওভারই ম্যাচের রং বদলে দিল। গৌতম গম্ভীর-সূর্যকুমার যাদবের মাস্টারস্ট্রোক। বোর্ডে ২১৩ রান তুলেও যে অস্বস্তি ছিল, তা কেটে গেল ১৭তম ওভারে। ব্যাট হাতে নজর কাড়তে ব্যর্থ রিয়ান পরাগ। তাঁকে একাদশে রাখা নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল। শেষ অবধি বল হাতে তা পুষিয়ে দিলেন। সঙ্গে ক্যাচ তো রয়েইছে। ৪৩ রানের জয়ে সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ভারত। কাল দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি।

টস জিতে এ দিন ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কা অধিনায়ক চরিত আসালঙ্কা। যদিও তাঁর সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ করে ভারতের টপ অর্ডার। যশস্বী জয়সওয়াল ও শুভমন গিল পাওয়ার প্লে-তে ঝড় তোলেন। এরপর সূর্যকুমার যাদব ও ঋষভ পন্থের অনবদ্য ব্যাটিং। লোয়ার অর্ডার অবশ্য অবদান রাখতে পারেননি। তারপরও বোর্ডে ২১৩ রান তোলে ভারত। এই রানও একটা সময় যথেষ্ট মনে হয়নি।

শ্রীলঙ্কার দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্ক ও কুশল মেন্ডিস দুর্দান্ত শুরু করেন। অবশেষে ভারতকে ব্রেক থ্রু দেন অর্শদীপ সিং। একটা সময় শ্রীলঙ্কার স্কোর ছিল ১৪০-১। সেখান থেকে ১৭০ রানেই অলআউট শ্রীলঙ্কা। ১৭তম ওভারে রিয়ান পরাগকে বোলিংয়ে আনেন স্কাই। প্রথম বলেই রান আউট। সেখান থেকেই শ্রীলঙ্কার পতনের শুরু। চতুর্থ ডেলিভারিতে রিয়ানের উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে খাতা খোলেন। এই ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে ১ উইকেট। তাঁকে শেষ ওভারেও বোলিং করান স্কাই। প্রথম দু-বলেই ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ ফিনিশ করেন রিয়ান। সব মিলিয়ে ১.২ ওভারে ৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট।

সুপার সানডেতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি। জয় দিয়ে শুরু করলেও বোলিং আক্রমণ নিয়ে সামান্য চিন্তা থাকলই। বিশেষ করে শুরুর দিকটায়। তবে দ্বিতীয় ম্যাচেই একাদশে কোনও বদল হবে বলে মনে হয় না। অন্তত বড় জয়ের পর সেটা না করার সম্ভাবনাই বেশি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − seven =