কলকাতা: বিয়ের মতো বড় বিষয় বলে কথা। জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। পাত্রের বন্ধুরা ছবি দিয়েছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
যত বিপত্তি তার জেরে।সেই ছবিতেই আন্দাজ করা যায়, নববধূ প্রাপ্ত বয়স্ক নন। আর তা দেখেই তত্পর হয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। তদন্তে জানা যায় নববধূর বয়স ১৬। সে নবমের ছাত্রী। এরপরই কিশোরীকে বিয়ের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় যুবককে। আপাতত শ্রীঘরে তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় দে। ২২ বছরের সঞ্জয় একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। মানিকতলা রোডের এলাকায় যাতায়াতের সূত্রেই পরিচয় হয় গিরিশ পার্ক এলাকার যোগেন দত্ত লেনের ওই কিশোরীর। অল্প সময়ের মধ্যেই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সঞ্জয়ের মায়ের দাবি, এখনই তাঁর ছেলের বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল না। ওই কিশোরীই বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রবিবার একটি মন্দিরে গিয়ে দু’জন বিয়ে করে। কিশোরীর মা জানান, তিনি দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে কিছুই জানতেন না। বিয়ের পর শুধু মেয়ে তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। যুবকের পরিবার জানিয়েছে, রবিবার রাতে ‘নতুন বউকে’ নিয়ে বাড়িতে আসেন সঞ্জয়। বিয়ে নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়। বিয়ের সময় উপস্থিত সঞ্জয়ের কয়েকজন বন্ধু ছবি তোলে। সোমবার সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করতেই গোল বাধে। মঙ্গলবার এনজিও’র সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু বিবাহ আইনে গ্রেপ্তার করা হয় সঞ্জয়কে। ১৬ বছর বয়সের যে কিশোরীকে বিয়ে করেছিলেন তাকে হোমে পাঠানো হয়েছে বেল খবর। তাছাড়া, মন্দিরে যে পুরোহিত কিশোরীর সঙ্গে সঞ্জয়ের বিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।