মেরুন ডায়েরি থেকে নোটবুক। রেশন দুর্নীতির তদন্ত এগোতেই বাজেয়াপ্ত হওয়া এই নথিগুলিতে নজর পড়েছিল ইডির। রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের হাওড়ার ব্যাঁটরার বাড়ি থেকে গত ২৬ অক্টোবর ‘বালুদা’ নামাঙ্কিত একটি মেরুন ডায়েরি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। গত পাঁচ দিনে ধরে সিজিওতে দফায় দফায় অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, তাতেই ™াওয়া গিয়েছে আরও একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ফের ইডি তলব করেছে অভিজিৎকে। সেখানেমেরুন ডায়েরির বিস্তারিত নথি চাওয়া হবে অভিজিতের কাছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
ইডি সূত্রের খবর, ‘বালুদা’ নামাঙ্কিত ওই মেরুন ডায়েরিতে রয়েছে নানা ধরনের হিসেব! অংক লাখের। রয়েছে একাধিক ব্যক্তির নাম ও ফোন নম্বরও। বেশ কিছু কোম্পানির নামও রয়েছে ওই ডায়েরিতে। এই সংক্রান্ত বিষয়েই আগামী সোমবার যাবতীয় নথি নিয়ে অভিজিৎকে সিজিওতে তলব করা হয়েছে।
রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে গত ১৩ অক্টোবর চালকল মালিক বাকিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ইডি। তখনই নাম উঠে আসে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর। যদিও সেই সময় জ্যোতিপ্রিয় দাবি করেছিলেন, ‘আমি বাকিবুরকে চিনি না। বাকিবুরকে আমি কোনওদিনই দেখিনি।’ সূত্রের খবর, মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎই গোয়েন্দাদের জানান যে বাকিবুর রহমানের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের।
গত ২৬ অক্টোবর গভীর রাতে সল্টলেকের বাড়ি থেকে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পরের দিন ইডির আইনজীবী মোবাইলের গ্যালারি থেকে একটি মেরুন ডায়েরির ছবি দেখিয়ে আদালতে দাবি করেছিলেন, ওই ডায়েরির ছত্রে ছত্রে রয়েছে রেশন দুর্নীতির চমকে দেওয়া একাধিক তথ্য। জ্যোতিপ্রিয়র মেয়ে ও স্ত্রীর নামে থাকা তিনটি কোম্পানির বিষয়েও ডায়েরি থেকে বেশ কিছু তথ্য মিলেছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রের খবর। ২০১১ সালে পালাবদলের সময় থেকেই মন্ত্রিসভায় রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। ছিলেন খাদ্য দপ্তরেও। সেই সময় থেকেই তাঁর আপ্ত সহায়ক হন অভিজিৎ দাস।