পারদ পতনের সঙ্গে দাম কমেছে সবজিরও

শীত পড়ার আগে কলকাতা ও শহরতলির বাজারে সবজির দাম কপালে ভাঁজ ফেলেছিল আম-জনতার। মাছ আর  সবজি কিনতে গিয়ে ফাঁকা হচ্ছিল আম বাঙালির পকেট। শীত আসতেই ছবিটা একটু হলেও বদেলেছে। পারদ পতনের সঙ্গে কমছে শাক সবজির দামও। শুক্রবার বাজারে গিয়ে যেন একটু স্বস্তির হাসি হাসতে দেখা গেল তিলোত্তমাবাসীকে। শীতের মূল আকর্ষণ ফুলকপি মিলেছে ১৫ টাকায়। তাও আবার এক জোড়া। পাশাপাশি দাম কমেছে আলু, পটল, টমেটো, বাঁধাকপির মতো সবজিরও। বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, শীতের সব ফসল মোটামুটি ভাবে বাজারে চলে এসেছে। আরও একমাস এই প্রবণতা বজায় থাকবে। ফলে সবজির দাম আপাতত বৃদ্ধির তেমন কোনও আশঙ্কা নেই বলেই মনে করছেন তাঁরা। তবে, তুলনামূলক ভাবে চড়া রয়েছে মাছ বাজারের দাম। বাজারে ছোট মাছ সস্তা হলেও বড় মাছ কিনেত বেশ ছেঁকা লাগছে হাতে। তবে মাছের দর এখনও না কমায়, আশঙ্কা থাকছে আদৌ মাছের দাম আর কমবে কিনা তা নিয়ে।

শুক্রবার বাজারে আলু (জ্যোতি) মেলে ১৫ টাকা কেজি দরে। পাশাপাশি আলু (চন্দ্রমুখী)-র দাম ২৫ টাকা কেজি। ফুলকপি সাইজ অনুসারে এক পিসের দাম ঘোরাফেরা করেছে ৭ টাকা থেকে ১০ টাকার মধ্যে। বাঁধাকপিরও সাইজ অনুসারে এত পিসের দাম রয়েছে ১০ থেকে১৫ টাকা। ওলকপির দাম একটু বেশি। ২৫ থেকে ৩০ টাকা, তবে এটা কেজি প্রতি। পাশাপাশি কেজি দরে কিনলে পেঁপের জন্য খরচ ১০টাকা। টমেটোর কেজি  ৪০ থেকে ৫০ টাকা। কড়াইশুঁটি ৮০ টাকা কেজি। পেঁয়াজের কেজি ৩০ টাকা। বেগুন বিক্রি হচ্ছে  ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। বরবটির এক আঁটি কিনতে গেলে দাম পড়ছে ১০টাকা।

মাছের বাজারে দাম সেই উর্ধ্বমুখীই। রুই মাছ (কাটা) বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে। সেখানে গোটা রুই প্রতি কেজিতে পড়ছে ১৮০ টাকা। কাতলার দাম বেশ চড়া। কেজিতে কিনেত গেলে ৩৬০টাকা থেকে দাম শুরু। তেলাপিয়ার দাম কেজি প্রতি ১৫০ টাকা। পাবদা মাছ ৭০০ টাকা প্রতি কেজি। ভেটকিও একদর। ৭০০ টাকাই পড়ছে প্রতি কেজিতে। ছোট ট্যাংরা মিলছে ৩০০ টাকা প্রতি কেজিতে। লটে মাছ বিক্রি হচ্ছে  ৯০ টাকা কেজি হিসেবে।

এদিকে মাংসের দামে খুব একটা হেরফের নেই। চিকেন বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। গোটা মুরগির দাম ১৪৫ টাকা প্রতি কেজি। মাটন এর দাম ঘোরাফেরা করছে ৭২০ থেকে ৭৮০ টাকার মধ্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fourteen − 1 =