বাংলা ক্রিকেট কিছুটা অভিভাবকহীন হয়ে গেল। এমনটাই বলছে ক্রিকেটমহল। ৩ অগস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মনোজ তিওয়ারি। গত মরসুমে যিনি বাংলার ক্যাপ্টেন ছিলেন, বাংলাকে রঞ্জি ফাইনালে তিলেছিলেন, সেই তাঁকেই এখন প্রাক্তন ক্রিকেটার বলা হবে। ফেসবুকে লম্বা পোস্ট করে মনোজ জানান ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন। মনোজ রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। তাই ২২ গজের সফর শেষ হওয়ার পর তিনি সম্ভবত রাজনীতিকেই আরও বেশি সময় দেবেন বলে মনে করছেন অনেকে। বাংলা ক্রিকেটকে অনেক কিছু দিয়েছেন তিনি। রঞ্জি জেতাতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু তাঁর অভিজ্ঞতা অনেক তরুণকে ক্রিকেটারকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তিনি বাংলা ক্রিকেট টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন, এমনটা মনে করেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও। সদ্য সৌরভকে বাংলার সিনিয়র তারকা মনোজের অবসর প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে, তিনি এ কথাই বলেছেন। ২০০৮ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল মনোজের। জাতীয় দলের হয়ে তিনি মোট ১২টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। এবং ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। জাতীয় দলে বেশি ম্যাচ না খেললেও বাংলার হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন। রঞ্জি ট্রফিতে গত মরসুমে বাংলাকে ফাইনালে তুলেছিলেন মনোজ। যদিও শেষ অবধি মন্ত্রীমশাইয়ের নেতৃত্বে বাংলা রঞ্জি জিততে পারেনি। ৩৭ বছরের মনোজ অবসরের পথে হেঁটেছেন। তাঁর অবসর প্রসঙ্গে মন্তব্য ভারতের প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘ও বাংলা ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। বাংলার হয়ে, ভারতের হয়ে ও যতটুকু খেলেছে, সেরাটাই দিয়েছে। সকলের খেলোয়াড় জীবন শেষ হয়। ওরও হল। আমি নিশ্চিত ও দেশের হয়ে এবং বাংলার হয়ে যেমন পারফর্ম করেছে তার জন্য গর্ববোধ করবে।’ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতের হার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘খেলায় রোজ একটা টিমই জিতবে, তা হয় না। ভারত আবার জয়ে ফিরবে। আর এই সিরিজটাও জিতবে।’ চলতি বছর যে ওডিআই বিশ্বকাপ হবে তাতে টিম ইন্ডিয়া ভালো পারফর্ম করবে, আশাবাদী সৌরভ।পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির উদ্যোগে পুলিশ পরিবারের কৃতি ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে এক অনুষ্ঠান হল ব্যারাকপুর সুকান্ত সদনে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি কৃতি ছাত্রছাত্রীদের হাতে পুরস্কার প্রদান করেন। সকলকে উৎসাহিত করেন মহারাজ। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ডিজি অনুজ শর্মা, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া এবং পুলিশের উচ্চ আধিকারিকরা।