সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ মণীশ সিসোদিয়া

আবগারি মামলায় সিবিআই গ্রেপ্তারকে  চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দ্বারস্থ হলেন মণীশ সিসোদিয়া। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বেঞ্চে মামলাটি রুজু করা হয়। এর আগে সোমবার সিসোদিয়াকে পাঁচ দিনের সিবিআই হেপাজতের নির্দেশ দেয় দিল্লির এক আদালত।তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবগারি মামলায় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তারের পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ করেন সিসোদিয়ার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। এ বিষয়ে কেন তাঁরা দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। জবাবে প্রবীণ সাংবাদিক বিনোদ দুয়া প্রসঙ্গ তুলে ধরেন সিসোদিয়ার আইনজীবী। এরপর মামলাটি গ্রহণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে কোভিড নিয়ে ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য সাংবাদিক বিনোদ দুয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনে মোদি সরকার।এরপর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন প্রবীঁণ ওই সাংবাদিক। সেই মামলায় মুখ পোড়ে কেন্দ্রের।কারণ, প্রবীণ সাংবাদিককে রাষ্ট্রদ্রোহের হাতে থেকে রেহাই দেয় শীর্ষ আদালত। এদিকে গত বছর দিল্লির আবগারি নীতি প্রণয়ন নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে দিল্লির উপরাজ্যপালের সুপারিশ মতো তদন্ত শুরু করে সিিবআই। সেই সময় আবগারি দপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন কেজরিওয়ালের ডেপুট মণীশ সিসোদিয়া। তারই তদন্তে নেমে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়,  এক শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই মামলায় বেশ কয়েক মাস ধরেই সিসোদিয়ার ওপর নজর ছিল কেন্দ্রীয় সংস্থার। পরে সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশির পাশাপাশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখা হয়।

এদিকে এই মামলায় গত রবিবার দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতা করার অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাটি। সিসোদিয়া আবগারি নীতির প্রথম খসড়ার অন্তত ৬টি বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফ থেকে। একইসঙ্গে সিবিআই-এর তরফ থেকে এ দাবিও করা হয়েছে, পানীয় বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির স্বার্থেই আবগারি নীতির খসড়ায় বদল করেছিল দিল্লি সরকার। বিনিময়ে ৩০ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছিল। সিসোদিয়ার কম্পিউটার থেকে আবগারি নীতির খসড়ার একটি নোট মিলেছে বলেও আদালতে দাবি করা হয়েছে সিবিআই-এর তরফ থেকে।

এদিকে, সিসোদিয়ার গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল।তাঁর অভিযোগ, মোদি সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। কেজরিওয়ালের পাশাপাশি, গ্রেপ্তারের সমালোচনা করে তৃণমূল কংগ্রেসও।সিবিআই, ইডি-কে মোদির বন্ধু বলেও কটাক্ষ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

1 × 3 =