আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা সিসোদিয়ার

আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির  নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজিরওয়ালের ডেপুটি মনীশ সিসোদিয়া। , বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে টুইট করেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী। সেখানে সিসোদিয়া লেখেন, ‘আমার মাথায় কোটি কোটি ভারতীর আশীর্বাদ রয়েছে। কয়েক মাসের জন্যে যদি জেলেও যেতে হয়, তা হলে পরোয়া করব না।’ রবিবার সকালেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে যান তিনি। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বের হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ডেপুটি মনীশ। এদিন সকালে প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধির স্মৃতি সৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে সোজা পৌঁছে যান সিবিআই দপ্তরে। দিন হালকা হলুদ রয়েছে জামা পরেছিলেন সিসোদিয়া। তাঁর গলায় ছিল হলুদ উত্তরীয়। সিবিআই দফতরে ঢোকার আগে একটি গাড়ির উপর দাঁড়িয়ে সদস্য-সমর্থকদের উদ্দেশ্য বার্তা দেন তিনি। বলেন, ‘আজকে আমাকে জেলে পাঠানো হবে। আমার ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। ঘরে আমার স্ত্রী আছেন। আজকাল তিনি খুব অসুস্থ থাকেন। আপনারা তাঁদের খেয়াল রাখবেন।’ সিবিআই দফতরে ঢোকার মুখে সিসোদিয়ার সেই বক্তব্য ভিডিয়ো করে টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন আপের কর্মী-সমর্থকরা। ভিডিয়োটি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল লেখেন, ‘আমরা তোমার পরিবারের খেয়াল রাখব মনীশ। কোনও চিন্তা করো না।’

উল্লেখ্য, এর আগে একাধিকবার নিজের গ্রেপ্তারি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন মনীশ সিসোদিয়া। এই প্রসঙ্গে এও বলেন, ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলিকে কাজে লাগাচ্ছেন মোদি-অমিত শাহরা। সিবিআই-কে দিয়ে আমার উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছেন তাঁরা। আমি নিশ্চিত, আমাকে গ্রেফতার করা হবে।‘ গত শুক্রবার একই সুর শোনা গিয়েছিল আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গলাতেও। তিনি বলেন, “সিসোদিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে ডাকা হয়েছে। সূত্র মারফৎ খবর পেয়েছি রবিবারই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হবে। আমরা এর জন্য প্রস্তুত রয়েছি। সিসোদিয়া জেল ঘুরে আসুক, দল আরও মজবুত হবে।’ প্রসঙ্গত আবগারি দুর্নীতি মামলায় গত শনিবার অর্থাৎ ১৯ ফেব্রুয়ারি মনীশ সিসোদিয়াকে তলব করে সিবিআই। তবে ওই দিন হাজিরা না দিয়ে সময় চেয়েছিলেন তিনি। সেই মতো তাঁকে সময় দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। ক্ষমতায় আসার পর দিল্লিতে নতুন আবগারি নীতি চালু করেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এই নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন দিল্লির উপরাজ্যপাল ভি কে সাক্সেনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ten − seven =