সম্প্রতি গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রঘুবীর সিং। সূত্রের খবর, সোমবার তাঁকে দিল্লির রাউজ এভিনিউ কোর্টে তাঁকে পেশ করা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি-র তরফে আইনজীবী নীতেশ রানা আদালতে সওয়াল করেন। তখনই তিনি জানান, পরবর্তী ক্ষেত্রে মণীশকে তারা আর নিজেদের হেপাজতে নিতে চায় না। আর এরপরই জল্পনা শুরু হয়, সোমবারই তিহাড় পাঠানো হবে কি না অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে।
এর আগে অর্থাৎ ১৫ মার্চ মণীশ কোঠারিকে আদালতে পেশ করা হলে কার্যত বিধ্বস্ত দেখায় তাঁকে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কান্নায়ও ভেঙে পড়ে জানিয়েছিলেন, তিনি কিছু করেননি। তাঁর ভুল যে তিনি পেশায় একজন হিসাবরক্ষক। সেই ঘটনার পর সোমবার ফের তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক মণীশের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন, মণীশ কোঠারির আইনজীবী রাজা চট্টোপাধ্যায় বিচারপতিকে আবেদন করেন, তাঁর মক্কেল সুস্থ নয়। সম্প্রতি অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাই পর্যাপ্ত পথ্য মণীশকে যেন ঠিকমত দেওয়া হয়। তবে বিচারক শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর মণীশকে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, গরু পাচার কাণ্ড সহ নানা আর্থিক দুর্নীতিতে অনুব্রত মণ্ডলের হিসেব রক্ষক মণীশ কোঠারি অনেকদিন ধরেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে ছিলেন। দিল্লিতে ইডির অফিসে ডেকেও পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, মণীশ সবকিছু জানে। এই মণীশ কোঠারিই অনুব্রতর হয়ে টাকা নিয়েছেন বলেও আদালতে জানান ইডির গোয়েন্দারা।