গরু পাচার মামলায় এবার ইডি-র জালে অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল দিল্লিতে। ইডি-র সদর দফতরে, যেখানে এই মুহূর্তে রয়েছে গরু পাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত। সেখানেই মঙ্গলবার সকাল থেকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় মণীশকে। এমনকী ইডি সূত্রে এও জানা যাচ্ছিল প্রয়োজনে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সূত্রে খবর, এদিন সেটাই করা হয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে ইডি-র তরফ থেকে জানানো হয় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তারের মূল কারণ হিসেবে ইডি-র তরফ থেকে যেটা জানানো হয়েছে, তা হল মণীশের বয়ানে অসঙ্গতি। আর সেই কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেপাজতে নিতে চান গোয়েন্দা আধিকারিকরা।
এই মণীশের হাতেই ছিল অনুব্রত ও সুকন্যার বিপুল সম্পত্তির চাবিকাঠি। কালো টাকা কোন পথে সাদা করা হবে তার দেখভালের দায়িত্ব ছিল এই মণীশ কোঠারির ওপরেই। ফলে খুব স্বাভাবিক ভাবে দিল্লিতে মণীশের ডাক পড়ার পর এ আশঙ্কা করছিলেন যে তাঁকে যে কোনও মুহূর্তে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। ইডি-সূত্রে খবর, বুধবার তাঁকে আদালতে পেশ করা হবে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, এর আগেও বীরভূমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর আদালতে ইডি জানায়, অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা সহ ঘনিষ্ঠ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডি-র আধিকারিকেরা। এই তালিকায় প্রথমেই নাম ছিল মণীশের। এরপর ইডি-র ডাক পেতেই মঙ্গলবার সকালেই তিনি পৌঁছে যান ইডি-র সদর দপ্তরে। ইডি- সূত্রে খবর, এদিন প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। কিন্তু বয়ানে অঙ্গতি ধরা পড়ে বারংবার। এরপই গ্রেপ্তারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কারণ, ইডি-র আধিকারিকদের বদ্ধমূল ধারনা, তথ্য লুকনোর চেষ্টা করছেন মণীশ। এদিকে অনুব্রতকে চাপে ফেলতে এর আগেও অনুব্রতকে মণীশের বয়ান রেকর্ড করে শুনিয়েছিলেন ইডি-র আধিকারিকেরা।