অনুব্রতর চাপেই নাকি নিজের ১৫ কোটির কোম্পানি জলের দামে সুকন্যা মণ্ডলের নামে লিখতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। জেরায় মণীশ এমনটাই দাবি করা হচ্ছে ইডি-র তরফ থেকে। পাশাপাশি ইডি-র তরফ থেকে এও জানানো হয় যে, ইডির জেরার মুখে ভেঙে পড়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।
এদিকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা। এই তালিকার একেবারে প্রথমে যে দুটি নাম রয়েছে তা হল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির। এই মুহূর্তে দিল্লিতে ইডি হেপাজতে। তদন্ত শুরুর পর মণীশ কোঠারির সম্পত্তির তথ্য পায় তদন্তকারীরা। জানা যায়, এএনএম অ্যাগ্রোটেক ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড নামে তাঁর একটি সংস্থা ছিল। যার মোট ১৭ জন শেয়ার হোল্ডার ছিলেন। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জেরায় জানান যে, অনুব্রতর ‘চাপেই’ সুকন্যাকে তাঁর কোম্পানি ও বিভিন্ন সম্পত্তি যার মোট মূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা, তা মাত্র তিন কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় বিক্রি করেছিলেন মণীশ। এরই পাশাপাশি ইডি আধিকারিকদের মণীশ এও জানান, ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট মোট ১৭ জন শেয়ার হোল্ডারের কোম্পানি সুকন্যা ও বিদ্যুৎবরণ গায়েনকে হস্তান্তর করা হয়। একইভাবে ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর সুকন্যাকে আরও এক কোম্পানি নীর ডেভলপার প্রাইভেড লিমিটেডের ডিরেক্টর করেন মণীশ। যে কোম্পানিতে ২০১৮ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে ছিল বিদ্যুৎবরণ গায়েনের অংশীদারিত্ব। ইডি সূত্রে এও জানানো হয়েছে যে, মণীশের কাছ থেকে যে সব তথ্যম মিলেছে তা যাচাই করা হচ্ছে ইডি-র তরফ থেকে।
এদিকে তথ্য বলছে শুধু বোলপুরের রূপপুর মৌজা, গোপালনগর মৌজা, কংকালীতলা মৌজা, দ্বারকানাথপুর মৌজা, সুরুল মৌজা-সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই রয়েছে মণীশ কোঠারির জমি। আর এই সব জমিই তিনি কিনেছেন ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত।