কলকাতা: ঝাঁ চকচকে রাস্তা, আকাশ ছোঁওয়া বিল্ডিং, আর এর পাশেই যদি ফলে থাকে আম, কাঁঠাল, লিচু, আঁশফল তবে কেমন হবে? ভাবছেন, এতো আগেকার দিনে বড়লোকেদের বাগানবাড়িতে দেখা যেত? শহরে যখন দূরবীণ দিয়ে সবুজ খুঁজতে হয়, তখন সেখানে আম-কাঁঠাল?
তবে এমনটা যে অদূর ভবিষ্যতে শহরবাসী দেখবেন না, এমনটা কিন্তু আর জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না।কারণ, গাছের স্বাস্থ্য সমীক্ষা করতে এসে সল্টলেকের রাস্তায় গাছে গাছে লিচু, আম, কাঁঠাল, বড় পাতার মেহগনির মতো গাছ বসানোর পরমার্শ দিচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ।বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সল্টলেকে গাছের স্বাস্থ্য-সমীক্ষা করতে বেরিয়েছিলেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) ও সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ, চওড়া গুঁড়ির বিশাল গাছ নয়, সল্টলেকে বসানো যেতে পারে আম, লিচু, নিমের মতো গাছ।
যাদবপুরের তরফে সমীক্ষা করতে এসেছিলেন জাতীয় ভেষজ উদ্ভিদ পর্ষদের সহ-অধিকর্তা সৌম্যজিৎ বিশ্বাস। সল্টলেকের বিভিন্ন রাস্তায় পুরসভার চিহ্নিত বিপজ্জনক গাছগুলি ঘুরে দেখেন সৌম্যজিৎ। চিহ্নিত করা হয় পেরেক পুঁতে সাইন বোর্ড ঝোলানো একাধিক গাছও।
এফডি ব্লকের একটি কাঠবাদাম গাছ, কেষ্টপুর খালপাড়ের একটি গাছ বিপজ্জনক অবস্থায় হেলে থাকতে দেখা যায়। ওই গাছগুলির পড়ে যাওয়া ঠেকাতে আপাতত সেগুলির মাথার দিক থেকে ছাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। কোথাও কোথাও হেলে যাওয়া গাছ সোজা করার টিপসও দেন তিনি।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ)রহিমা বিবি বলেন, ‘যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরামর্শে গাছের পরিচর্যার কাজ নিয়মিত করা হবে। রাস্তার ধারে আম-লিচুর মতো ফলের গাছ লাগালে প্রচুর পাখিও সল্টলেকে আসবে।’