মঙ্গলকোটের বিস্ফোরণ মামলায় তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস অনুব্রত

কলকাতা: মঙ্গলকোটে রাজনৈতিক হিংসার মামলায় স্বস্তি অনুব্রতর।তথ্য প্রমাণের অভাবে এমপিএমএলএ আদালত বেকসুর খালাস করল অনুব্রত মণ্ডলকে।গরুপাচার মামলায় জেল হেপাজতে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তবে ২০১০ সালের মঙ্গলকোট বিস্ফোরণ কাণ্ডে তাঁকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। তথ্য প্রমাণের অভাবে খালাস কেষ্ট সহ আরও ১৫ জন।

এমপিএমএলএ আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী সৌভিক বাসু ঠাকুর বললেন, ‘সত্যমেব জয়তে…। আমি ক্লায়েন্ট বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে আদালত। ওঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ছিল, মঙ্গলকোটে মল্লিকপুর গ্রামে রাজনৈতিক হিংসায় সরাসরি জড়িত ছিলেন। আসলে ওঁর ভাবমূর্তিটা নষ্ট করা চেষ্টা হয়েছিল। এই মামলা থেকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হল।’ সাক্ষীরা সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, তথ্য প্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়েছিল, সব কিছুর ভিত্তিতে এদিন এমপিএমএলএ আদালত অনুব্রত-সহ ১৫ জনকে বেকসুর খালাস করে দেয়।এদিন কাকতালীয়ভাবে সকাল থেকেই অনুব্রত মণ্ডলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ধরা পড়ছিল।

“জেলে কেউ সারাজীবন থাকে না, ছাড়া পায়। নিশ্চই ছাড়া পাব।” আসানসোল থেকে কলকাতায় আসার সময় আত্মবিশ্বাসী অনুব্রত মণ্ডল এমনটাই বলেছিলেন। তার আগে সাতসকালেই আসানসোল জেল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বলেন, “দিদি পাশে আছে, এটাই এনাফ!”

মামলার প্রেক্ষাপট এক যুগ আগে। মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রামের রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মাঝেই একটি রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটে। গ্রামে বোমাবাজি হয়। সেসময় কেবুলাল নামে এক সিপিএম কর্মীর হাত উড়ে যায়। তিনি সেদিন দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই বোমাবাজির ঘটনায় মূল অভিযুক্তের তালিকায় ছিল অনুব্রত মণ্ডলের নাম। এছাড়াও শেখ শাহনাওয়াজ,তাঁর ভাই কাজল শেখ, আজাদ মুন্সি( যিনি বর্তমানে মৃত) ও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কেরিম খান-সহ ১৫ জনের নামে মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের করে সিপিআইএম। প্রথমে এই মামলা কাটোয়া আদালতে বিচারাধীন ছিল। পরে এমপি এমএলএ আদালতে পাঠানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × one =