হাওড়া মঙ্গলাহাটে আগুন লাগার কারণ কি তা নিয়ে ফরেনসিক ল্যাবরেটরি যে রিপোর্ট এসেছে তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। একাধিক জায়গায় একাধিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। স্টেট ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিকে রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের।
হাওড়ার মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট রাজ্য ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির। আগুন লাগার কারণ হিসেবে এসএফএসএল রিপোর্টে এক জায়গায় এও উল্লেখ করা হয়েছে, আগুন এতটাই তীব্র ছিল তাতে মিটার বক্সও পুড়ে গিয়েছে। ফলে আগুন কী ভাবে লাগল সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আবার সেই রিপোর্টে অন্য এক জায়গায় বলা হয়েছে যে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে মনে হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার শুনানি চলছে। হাওড়া মঙ্গলাহাটের অগ্নিকাণ্ডের এই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। রিপোর্ট দুই জায়গায় দু’রকম রিপোর্ট কেন প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি। কোন বক্তব্য ঠিক, তা জানতে চাওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত এসএফএসএস-কে ওই রিপোর্ট হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
প্রসঙ্গত, হাওড়া মঙ্গলা হাট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গত ৬ অগাস্ট হাটের মালিক বলে পরিচিত শান্তিরঞ্জন দে কে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, বসুন্ধরা টাওয়ার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার চেয়ারম্যান এই শান্তিরঞ্জন দে। সিআইডি তাকে গ্রেফতার করে। এই মালিকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনেছিলেন হাওড়া মঙ্গলা হাটের ব্যবসায়ীরা।
২০ জুলাই রাতের দিকে হাওড়ার এই বিখ্যাত হাটে আগুন ধরে যায়। পুড়ে ছাই হয়ে যায় হাটের ছোট বড় একাধিক কাপড়ের দোকান। পুজোর মুখে এই ঘটনায় দিশাহারা হয়ে পড়েন কাপড়ের ব্যবসায়ীরা। এরপর ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠান থেকে ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাওড়া মঙ্গলা হাটের জায়গায় নতুন বাজার কমপ্লেক্স করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। তার আগে পুরনো হাটের কিছু জায়গায় ব্যবস্থা করে সপ্তাহ খানেক বাদেই ব্যবসা শুরু করেন হাটের বিক্রেতারা। তবে আগুন লাগল কী ভাবে, নাকি আগুন লাগানো হয়েছে এই প্রশ্নও ওঠে। ফরেনসিক ল্যাবের রিপোর্টে ধোঁয়াশা রয়ে গেল। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানি।