শনিবার ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে উঠে যিনি ধাক্কা মেরেছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে অবশেষে প্রকাশ্যে এল ওই ব্যক্তির পরিচয়। যিনি তাঁকে এদিন ধাক্কা মেরেছিলেন, সেই ব্যক্তি তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য, এমনটাই দাবি বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির। একইসঙ্গে নওশাদ এও জানান, ‘আশা করব পুলিশি তদন্তে সত্য উদঘাটন হবে।’ এরই রেশ ধরে নওশাদ এও জানান, ‘আমি এখানে আবার আসব। এটা আমাদের হকের লড়াই। কিন্তু, পুলিশকে এখানের আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।’
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, নওশাদ সিদ্দিকিকে যে ব্যক্তি ধাক্কা মেরেছিলেন তাঁর নাম আবদুল সালাম। ৩৫ বছর বয়সী এই যুবকের বাড়ি হাওড়া ডোমজুড়ের পশ্চিমপাড়ায়। তৃণমূল পরিচালিত বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য এই এই আবদুল সালাম। বাঁকড়া দু’নম্বর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ মেহের আলির বক্তব্য, ‘বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই। তিনি এলাকাতেও আসেন না। তবে পঞ্চায়েত সদস্যপদ রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা রয়েছে তাই দল তাকে সেভাবে আর পাত্তা দেয় না।’ তবে নওশাদ সিদ্দিকিকে ধাক্কা মারার ঘটনার নিন্দা করেন উপপ্রধান।
এদিকে এই আবদুল সালামের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানালেন হাওড়া সদরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কল্যাণ ঘোষ। এলাকায় সে ‘তোতা’ নামেই পরিচিত। তিনি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে চিহ্নিত। এ প্রসঙ্গে কল্যাণ ঘোষ জানান, ‘ভোটের সময় তোতা এলাকাবাসীর কাছে একজন সমাজবিরোধী হিসেবেই পরিচিত। তাই তার সম্পর্কে বেশি কিছু বলার নেই।’ এরপরই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে কটাক্ষের সুরে জানান, ‘তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে ভোটে যিনি দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর ডানহাত ছিল তোতা। বিজেপির হয়ে ঝামেলা পাকাবার চেষ্টা করেছিল। বর্তমানে পঞ্চায়েত সদস্য থাকলেও দল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছে।‘