নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঁকুড়া: পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত হবে, তত তাড়াতাড়ি দিল্লির ভ্রষ্টাচার সরকার, আদানি সরকারের ২৪-এ পতন ঘটবে। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে নেমে বাঁকুড়ার মাটি থেকে এই ভাষাতেই নরেন্দ্র মোদির সরকারকে নিশানা করলেন আসানসোলের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
বুধবার সন্ধেয় বাঁকুড়ার তালডাংরা ব্লকের বিবড়দায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে জড়ো হওয়া জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে উঠে বিহারীবাবু বলেন, ‘এই নির্বাচনে বাংলার সরকারের পতন হবে না, তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত যত তাড়াতাড়ি শক্ত হবে, ততই দিল্লির ভ্রষ্টাচার সরকার, আদানির সরকারের চব্বিশের নির্বাচনে পতন ঘটাব।’ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গেমচেঞ্জার হিসেবেও উল্লেখ করেন তিনি। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে আয়োজিত সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শত্রুঘ্ন দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ভ্রষ্টাচারে ঘেরা রয়েছেন, উনি আবার অন্যদের বিরুদ্ধে ভ্রষ্টাচারের অভিযোগ করছেন। বিহারীবাবুর বক্তব্য, ইডি-সিবিআইয়ের কেস লাগিয়ে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত দমিয়ে রাখার চেষ্টা করবে, ততই সামনে আসবে তৃণমূল। নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো।
এদিন বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে ‘শটগান’ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি, যিনি আপাদমস্তক দুর্নীতিগ্রস্ত, তিনি অন্যদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলছেন। তিনি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে ইডি-সিবিআইকে দিয়ে তল্লাশি অভিযান করাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর নিউটনের তৃতীয় সূত্র মনে রাখা উচিত। তারা তৃণমূল কংগ্রেস, বাংলার মানুষ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যত দমানোর চেষ্টা করবে, ততই আমরা ওপরের দিকে উঠব। আসন্ন ২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গেমচেঞ্জার হয়ে উঠবেন এবং কেন্দ্রের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে উৎখাত করবেন।’ এখানেই শেষ নয়, সভায় নিজের ভাষণে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ও আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের তুলনা টেনে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন শত্রুঘ্ন সিনহা। তিনি বলেন, ‘বাংলা আজ যা ভাবে, গোটা ভারতবর্ষ তা কাল ভাবে।’