শনিবার তৃণমূল সরকারের ১২ বছরের পূর্তি উপলক্ষে টুইট করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটে লেখেন ‘লং লিভ ২০ মে।’ এদিকে ক্ষমতায় থাকার একযুগ পূর্তির দিনই ঘটনাচক্রে নানা অভিযোগে নাস্তানাবুদ তৃণমূল সরকার এবং এই ২০ মে নিজ়াম প্য়ালেস শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির সম্পর্কিত সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধরণ সম্পাদক তথা মমতার ভ্রাতুষ্পুত্র অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। এক অদ্ভূত সমাপতন।
তবে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এদিন তাঁর টুইটে শুরু থেকেই বামেদের নাম না করে সেলিমদের বিদ্ধ করেন। নাম না করে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপিকেও। চাঁচাছোলা ভাষায় লিখলেন, ‘২০১১ সালের এই দিনই ৩৪ বছরের দানবরাজের অবসান হয়েছিল। ওদের সরিয়ে বাংলার মসনদে বসেছিলাম আমরা। তৈরি হয়েছিল মা-মাটি-মানুষের সরকার। জনগণের কাজে নিজেদের উৎসর্গ করার জন্য আজ ফের একবার অঙ্গীকার করছি আমরা। কেন্দ্রের স্বৈরাচারী সরকার ও তাঁদের এজেন্সি রাজ রোজই আমাদের কাজটাকে কঠিন করে দিচ্ছে। তবুও দেশের লাখ লাখ মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। লং লিভ ২০ মে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ক্ষমতা দখলের পর থেকে কখনও নারদা মামলা তো কখনও সারদা মামলা, বারবার বিদ্ধ হতে হয়েছে তৃণমূলকে। বর্তমানে, আরও অস্বস্তি বাড়িয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে গরু পাচার, কয়লা কেলেঙ্কারি। জেলে ঠাঁই হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের মতো তাবড় তাবড় নেতাদের। এরপর ডাক পড়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের। তবে অভিষেককে ডেকে পাঠাতেই সুর চড়াতে দেখা যায় মমতাকে। আশ্বাস দেন, আগামীদিনে অভিষেক না পারলে, তিনি নিজে সব সভায় যাবেন।