আতিক খুনের ঘটনায় হতবার মুখ্যমন্ত্রী, টুইটে বিঁধলেন যোগী প্রশাসনকে

গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ খুনের ঘটনায় এবার সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই ঘটনায় রবিবার একটি টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইন শৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক। এটা লজ্জাজনক, পুলিশ এবং মিডিয়ার উপস্থিতিতেই এভাবে অপরাধীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে এ ধরনের বেআইনি কাজের কোনও স্থান নেই।’
উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন এবং সঙ্গে বিজেপিকেও এই ঘটনায় কটাক্ষ করেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। শনিবার গোটা ভারতকে চমকে দেওয়া আতিক আহমেদের শ্যুটআউটের প্রসঙ্গে রবিবারের বোলপুরের জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কেউ কোনও অপরাধে কেউ ধরা পড়লে তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়। বিচার হয়। আর উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার হয়।’
এদিন যোগী রাজ্যের এই ঘটনা নিয়ে টুইটে তোপ দাগেন তৃণণূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন তোলেন, ‘পুলিশি হেফাজতের মধ্যে আবার ভয়ংকর হত্যাকাণ্ড। গোটা রাজ্যের সব জেলায় ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশে ৩৫৬ ধারার পরিস্থিতি কি হয়নি? বিজেপি কী বলে???’
প্রসঙ্গত, শনিবার জেলবন্দি আতিক ও তার ভাই আশরফকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামার পরই তাদের ঘিরে ধরে সংবাদমাধ্যম। হাসপাতালের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই আতিককে প্রশ্ন করেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। কথা বলতে বলতেই আততায়ীরা গ্যাংস্টার আতিকের মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয় । আতিকের ভাই আশরফকে ঘিরেও চলতে থাকে একের পর এক গুলি। পুলিশি হেফাজতে প্রয়াগরাজে এই হাড়হিম হত্যাকাণ্ডের জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে উত্তর প্রদেশ প্রসাশন। আতিক খুনের তদন্তে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিটি তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ঘটনার সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৭ জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তিন আততায়ীকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + 18 =