রাজ্যসভার রেকর্ড থেকে কেন বাদ বয়ান, প্রশ্ন মল্লিকার্জুনের

আদানি ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। তবে তাঁর সেই বয়ান রাজ্যসভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়। আর তা নিয়েই বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেসের এই বর্ষীয়ান নেতা। একইসঙ্গে বিরধী দলনেতা এদিন এ দাবিও করেন, সংসদীয় নীতি মেনেই প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন তিনি। এরই রেশ ধরে তিনি এদিন এও মনে করিয়ে দেন, অতীতেও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমা রাও সম্পর্কে অটলবিহারী বাজপেয়েরীর বিতর্কিত মন্তব্য রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়নি।

প্রসঙ্গত, আদানি ইস্যুতে সংদের দুই কক্ষে সরব হয়েছে কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দল। রাজ্যসভায় এ নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর যোগের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। প্রধানমন্ত্রীকে মৌনীবাবা বলে কটাক্ষও করতেও ছাড়েননি তিনি। এরপরেই খাড়গের ভাষণের একাংশ রাজ্যসভার রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড়। চেয়ারম্যানের এই সিদ্ধান্তের এদিন কড়া নিন্দা করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে।  সঙ্গে এও জানান, বক্তব্য রাখার সময় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসংসদীয় কোনও মন্তব্য করেননি। পাশাপাশি এও বলেন, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে।

শুধু খাড়গে নয়, আদানি ইস্যুতে রাহুল গান্ধির মন্তব্যের উপরও সেন্সরের কাঁচি চালিয়েছেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে আর্থিক জালিয়াতি নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়া শিল্পপতি গৌতম আদানির ছবি তুলে ধরে সংসদে সুর চড়ান রাহুল।সংসদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল বলেন যে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় আদানিদের সঙ্গে সম্পর্কের শুরু। সঙ্গে এও বলেন, এই একজনই একেবারে কাঁধে কাঁধ রেখে প্রধানমন্ত্রী মোদির পাশে দাঁড়ান। তবে  এরপরেই রাহুলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান বিজেপি সাংসদরা। রাহুলের বিরুদ্ধে আনা হয় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগও। পরে রাহুলের সেই বক্তব্যের অংশ বাদ দেওয়া হয় লোকসভার রেকর্ড থেকে।রাহুলের বক্তব্যও কেন বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্নও তোলেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জুন।

প্রসঙ্গত, আমেরিকার শেয়ার সংক্রান্ত সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানিদের বিরুদ্ধে এক দশক ধরে শেয়ারে কারচুপি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনা সামনে আশতেই উত্তাল হয়েছে সংসদ। এরপরেই যৌথ সংসদীয় কমিটিকে দিয়ে তদন্তের দাবিতে সংসদে সরব হন বিরোধীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 2 =