চিনা আগ্রাসন নিয়ে উত্তাল রাজ্যসভা

অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে  লাল ফৌজের আগ্রাসন নিয়ে বিরোধীদের আলোচনার দাবি ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজ্যসভা। কারণ, এদিন অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন নিয়ে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি করেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। কিন্তু চেয়ারম্যান সেই দাবি খারিজ করলে, রাজ্যসভা থেকে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধী দল।

সূত্রে খবর, সোমবার অদিবেশনের অধিবেশন শুরুতে অরুণাচলে চিনা আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার দাবি করেন বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ‘চিন অরুণাচল প্রদেশে জমি দখলের চেষ্টা করছে। এ নিয়ে সংসদে আলোচনা হওয়া উচিত। এ প্রশ্নও তোলেন, ‘এখনই যদি আলোচনা না হয়, তাহলে আর কবে আলোচনা করব?’ পাশাপাশি বাদ দিতে চান অন্যান্য বিষয়ও। বিরোধী দলনেতার দাবি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকড় নস্যাৎ করে দেন। এরপরই রাজ্যসভায় শুরু হয় হট্টগোল। বিরোধীদের দাবির পাল্টা টিপ্পনি কাটতে দেখা যায় সরকার পক্ষের সদস্যদের। এরপরেই বিরোধীরা চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যসভার অধিবেশন ছেড়ে চলে যান।

বিরোধীদের তরফ থেকে এদিন  অভিযোগ জানানো হয়, ভারত-চিন সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে দেশকে অন্ধকারে রেখেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। মুখে ‘সমস্যা নেই’ বলে দাবি করা হলেও সমস্যা যে রয়েছে, তার প্রমাণ মিলেছে অরুণাচলের সীমান্তে লালফৌজের সঙ্গে ভারতীয় সেনার সংঘর্ষের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে। এদিকে, অরুণাচল সীমান্তে লাল ফৌজের আগ্রাসন নিয়ে শনিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিও দেওয়া হয়। ওই বিবৃতিতে এও দাবি করা হয়ষ  সীমান্তে যে কোনও সমস্যা সমাধানে বাহিনী প্রস্তুত। প্রয়োজনে উপযুক্ত জবাবও দেওয়া হবে বলেও জানানো হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফ থেকে।

প্রসঙ্গত, সেনাসূত্র উদ্ধৃত করে এক সংবাদ সংস্থা একটি খবর সামনে আনে। তাতে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর রাতে চিনের পিউপলস লিবারেশন আর্মি অরুণাচলের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে, ভারতীয় সেনারা বাধা দেন। সে সময় সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হন বলে সেনা উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি করে ওই সংবাদ সংস্থা। এরপরেই ঘটনার বিবৃতি দাবি করে সংসদের দুই কক্ষে সরব হয় বিরোধীরা। সংঘর্ষ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য এক বিবৃতিও দেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।এই বিবৃতিতে চিনা ফৌজকে ভারতীয় জওয়ানরা হটিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেন রাজনাথ।তবুও, সরকারের বিবৃতিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধীরা।বারবার আলোচনার দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =