এবারে লাভের আশা রয়েছে তিনগুণ, ফলের রাজা আম ব্যাপক উৎপাদন হওয়ায় হাসি ফুটিয়েছে মালদার চাষিদের। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মালদা আম রপ্তানির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় মালদার আম রপ্তানি হওয়ার জন্য শুরু হয়েছে প্যাকিংয়ের কাজ। এছাড়াও হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোপালভোগ আম যাচ্ছে ইতালি, লন্ডন, রোম, জার্মানি। পাশাপাশি মধ্যএশিয়ার ফিলিপিনস, ইন্দ্রোনেশিয়া, থাইল্যান্ডেও আম রপ্তানির তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন মালদার এক্সপোর্টারেরা। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় দশ কুইন্ট্যাল আম বিদেশের বাজারে রপ্তানির বরাত মিলেছে এক্সপোটারদের বলে জানিয়েছে মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃপক্ষ।
এদিকে উদ্যান পালন দপ্তর জানিয়েছে, মালদা জেলায় প্রায় ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে বিপুল পরিমাণ আম উৎপাদন হয়েছে। তার কারণ, এবছর তুলনামূলক ঝড়-বৃষ্টি কম হয়েছে। তাছাড়াও মালদায় এখনো পর্যন্ত শিলা বৃষ্টি হয়নি। এতে আমের উৎপাদন আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এবছর প্রায় সাড়ে চার লক্ষ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হতে পারে মালদায় বলেও মনে করছে উদ্যানপালন দপ্তর।
মালদার মহদিপুর এলাকার আম চাষি, লক্ষ্মণ ঘোষ জানিয়েছেন, এবছর ব্যাপক আমের ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে আসাম, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ ১৩ টি রাজ্যে মালদাম রপ্তানি হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি ইউরোপ এবং এশিয়াতেও আম যাচ্ছে। এখন থেকে সেই আম রপ্তানির প্রস্তুতির কাজ শুরু করা হয়েছে। হিমসাগর, লক্ষ্মণভোগ, গোপালভোগ এই জাতের আম মূলত বিদেশের বাজারে রপ্তানি করা হচ্ছে। এবছর আমরা খুব খুশি। আম চাষে এক টাকা খরচ হলে তিন টাকা লাভের আশা রয়েছে।
মালদা ম্যাংগো মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তথা পশ্চিমবঙ্গ এক্সপোর্টার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক উজ্জ্বল সাহা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিদেশের বাজারে আমের মার্কেট ধরার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের পাশাপাশি ইউরোপ ও এশিয়াতে আম রপ্তানি করা হবে। তারজন্য রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছে। প্রথম দফায় তিন প্রজাতির আম আমরা ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ায় পাঠাচ্ছি। এবছর ফলন ব্যাপক হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের নাগরিকেরাও খুব সস্তায় মালদার আম খাবার সুযোগ পাবে।