মালদা: ফেনসিডিল, ড্রাগ, সোনা পাচারের করিডর হয়ে উঠেছে মালদা। আর যার সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা অভিযোগ বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর। পাল্টা প্রতিক্রিয়া রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর।
উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের এই রাজত্বে যে সমস্ত তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত প্রধানরা রয়েছে সেই প্রধানটা ফুলে-ফেঁপে কলা গাছ হয়ে গিয়েছে। তাদের বাড়ি গাড়ি সব চকচকে হয়ে গিয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী শ্রমিক ও ফলের ব্যবসায়ী যারা তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যারা গ্রাম স্তরে কালেক্টর হিসেবে কাজ করে। গ্রাম থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা লুট করে। সেই টাকা নিয়ে যারা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে এদের সম্পর্কে আমরা বারে বারে বলছি। এখানে আমাদের মালদাকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এখান দিয়ে ফেনসিডিল, সোনা, ব্রাউন সুগার প্রচার করছে মালদা জেলাকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করছে, যারা তারা সব তৃণমূল কংগ্রেসের। এরা তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত পাচারকারী। এদের সম্পর্কে আমরা মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই কারণে সমস্ত বর্ডারগুলোকে সিল করে দিয়েছেন। ফলে তারা আর কারবার করতে পারছেন না। তবুও এরা চেষ্টা করছে মালদা জেলাকে কিভাবে করিডর হিসেবে ব্যবহার করা যায়। তৃণমূল কংগ্রেস আসলে একটা চোর এদের চুরি ছাড়া কোনো রাস্তা নেই। বিএসএফের সঙ্গে যদি নেক্সাস থাকতো তাহলে কোনও কিছু ধরা পরত না। আজকে ওরা চেষ্টা করছে। বিএসএফ তৎপরতার সঙ্গে এই সমস্ত অর্ডারগুলোকে বন্ধ করে দিচ্ছেন বলে তারা কিছু পাচার করতে পারছেন না। যদি বিএসএফের সঙ্গে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সমস্ত পাচারের টাকা তৃণমূল কংগ্রেসের ফান্ডে যায়। এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে আমরা তাদের নাম কেন্দ্রের কাছে জানিয়েছি।
পাল্টা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, বর্ডার দিয়ে যদি পাচার হয় তাহলে বর্ডারের রক্ষককে বিএসএফ। বিএসএফ হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের একটা সংস্থা। তাহলে খগেন বাবু সরাসরি বিএসএফের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনছেন না কেন। বিএসএফকে টপকে কোনও স্মাগলাররা যেতে পারবেন। খগেন বাবুই বলতে পারবেন কারা চোর।