সাগরে উষ্ণ মকরস্নান, বুধবার কলকাতায় বৃষ্টির সম্ভাবনা

বহুকাল পর সাগরে উষ্ণ মকরস্নান। তবে রবিবারের ঘন কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ছিল অনেকটাই কম। আবহাওয়া দপ্তরের পর্বাভাস অনুসারে এদিন তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের অনেকটা উপরে। উত্তর পশ্চিমের শীতল বাতাস উধাও। অনুভব করা গেছে দক্ষিণ-পশ্চিমের জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাসের প্রভাব। গঙ্গাসাগরে মকর সংক্রান্তির দিন ভোররাতে ও সকালের দিকে ঘন কুয়াশার চাদর। দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের নিচে নেমে যায়। দিন ও রাতের তাপমাত্রা ছিল স্বাভাবিকের অনেকটাই ওপরে । সকালের দিকে দখিনা বাতাসের প্রভাব বোঝা গেছে। যার গতিবেগ ছিল ১০ থেকে ৩০ টি কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায়। তবে রাতের দিকে উত্তর-পশ্চিমের বাতাস বয় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার গতি বেগে।

এদিকে  কলকাতায় কুড়ি ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পারদ। রেকর্ড তাপমাত্রা। স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস উপরে তাপমাত্রা। তবে আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে আগামী দুদিন তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী হবে। বুধবার থেকে ফের ঊর্ধ্বমুখী হবে পারদ। এদিন সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৬৩ থেকে ৯৪ শতাংশ। সকাল থেকে কলকাতার নানা জায়গায় নজরে এসেছে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশার দাপট। সকালের দিকে দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যায়। দিনভর ছিল আংশিক মেঘলা আকাশ। তবে বুধবার বৃষ্টির  সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে আলিপুর আবহাওযা দপ্তর থেকে।  এর পাশাপাশি মঙ্গলবারের পর রাজ্যের উপকূলে বৃষ্টির পূর্বাভাসও দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আগামী দুতিন দিন হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা দার্জিলিং কালিম্পং-এ। এদিক উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় জারি হয়েছে পরবর্তী দু’দিনের জন্য ঘন কুয়াশার সতর্কতা। এর মধ্যে রয়েছে  দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা ও হাওড়া এবং দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর। এই সব কটি জেলায় সকালের দিকে দেখা যাবে ঘন কুয়াশা। ফলে দৃশ্যমানতা অনেকটা নেমে যেতে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের অন্য জেলাতে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেই আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ সোম আর মঙ্গলবারে  জারি হয়েছে  ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস। মালদা উত্তর দক্ষিণ দিনাজপুর কোচবিহারে বেশি কুয়াশার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর।

এদিকে একটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা রয়েছে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে নতুন করে পরপর দুটি শক্তিশালী পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। এর মধ্যে একটি বুধবার ও আরেকটি শুক্রবার। এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে একটি উচ্চচাপ বলয়। এই উচ্চচাপ বলয় থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে। এদিকে আগামী চার পাঁচ দিন ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়বে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের এই বিস্তীর্ণ এাকা। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও শূন্যে গিয়ে ঠেকবে। একইসঙ্গে বুধবার পর্যন্ত চরম শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা জারি হয়েছে রাজস্থানে। সোমবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দুদিনের চরম শৈত্য প্রবাহ চলতে পারে পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লিতে বুধবারেও চরম শৈত্য প্রবাহের সর্তকতা থাকছে। পাশাপাশি আবহাওয়া দপ্তর সূত্র জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ দিন পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়ে, শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে। বুধবার পর্যন্ত শীতল দিনের পরিস্থিতি থাকবে উত্তরাখন্ড এবং রাজস্থানে। একইসঙ্গে আবাহওয়া দপ্তর থেকে এও জানানো হয়েছে, আগামী তিন দিনে উত্তর-পশ্চিম ভারতের তাপমাত্রা নামবে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। মধ্যপ্রদেশ সহ মধ্য ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে আগামী তিন দিনে তাপমাত্রা তিন থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নামতে পারে। পূর্ব ভারতেও তাপমাত্রা নামার ইঙ্গিত আগামী দু-তিন দিন। বাংলা বিহার ওড়িশা সহ পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী দুদিন থেকে তিন দিন তাপমাত্রা নামতে পারে দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nine − 3 =