শেষ চার ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৮০ রান। আগের পঞ্জাব কিংস শেষ চার ওভারে ৮২ রান তুলেছিল। কিন্তু রাসেল ফিরলেন মাত্র ৬ বলে ৯ রানে। আউট হয়ে মেজাজ হারান রাসেল। ড্রেসিংরুমের বাইরে ব্যারিকেডে ব্যাট দিয়ে মারেন। বড় রকমের ফাটল ধরে। চতুর্থ আম্পায়ার রাসেলকে সতর্ক করেন। কেকেআরের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়তে পারলেন না ডেভিড উইজেও। রিঙ্কু সিংদের কাছে বাকি সময়টা ছিল হারের ব্যবধান কমানো। হারের হ্য়াটট্রিক থেকে বেরোতে পারল না কলকাতা নাইট রাইডার্স। নিজেদের পরিকল্পনা এবং মাহির মাস্টারস্ট্রোক। এ মরসুমে এখনও অবধি সেরা কম্বিনেশন খুঁজে নিতে ব্যর্থ কেকেআর টিম ম্যানেজমেন্ট। প্রতি ম্যাচেই একাদশে বদল। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি তৈরি করছে ওপেনিং জুটি নিয়ে পরীক্ষা। এ মরসুমে সপ্তম ম্যাচে পঞ্চম ভিন্ন জুটি নামাল কেকেআর। সামনে ২৩৬ রানের বিশাল লক্ষ্য। এ মরসুমে এটিই সর্বাধিক স্কোর। কেকেআরের হয়ে ওপেনিংয়ে নামলেন সুনীল নারিন ও নারায়াণ জগদীশন। অতীতে ওপেন করলেও এ মরসুমে প্রথম বার ওপেনিংয়ে নারিন। অন্যদিকে, জগদীশন এ মরসুমে ওপেন করলেও সাফল্য পাননি। এই ম্যাচেও হতাশ করলেন। জেসন রয় কেন ওপেনিংয়ে নয়! এর কারণ হতে পারে চোট। বাউন্ডারি লাইনে ফিল্ডিংয়ের সময় চোট পেয়েছিলেন জেসন। দ্রুত ড্রেসিংরুমে চলে যান তিনি। কেকেআরের ২ উইকেট পড়ার পরও রয় না নামায় প্রশ্ন ওঠে। ২০০ প্লাস স্কোর তাড়া করতে হলে শুরুটা ভালো হওয়া প্রয়োজন। খারাপ শুরুর ধারাবাহিকতা বজায় রইল কেকেআরের। জেসন রয়-রিঙ্কু সিংয়ের মরিয়া লড়াইয়েও ৪৯ রানে হার। এর আগে হলুদ ইডেনে ২৩৫ রান তোলে চেন্নাই সুপার কিংস৷ ধোনির ব্যাট হাতে নামার অপেক্ষায় শুরু থেকেই গোটা ইডেন৷ শেষ পর্যন্ত তিনি নামলেন এবং ২ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়লেন৷