মাহিকে স্বাগত জানাতে লখনউয়ে নানা হোর্ডিং দেখা গিয়েছিল। নানা মজার লেখা তাতে। ধোনি শেষ বলে ছয় মারুক, কিন্তুখতখন যেন চেন্নাইয়ের এক বলে ১২ রান প্রয়োজন হয়। আবার সহজ হোর্ডিংয়ে লেখা, ধোনি ছয় মারুক কিন্তু লখনউ জিতুক। সব ইচ্ছেই পূরণ হল লখনউ সমর্থকদের। মাহির বিধ্বংসী ব্যাটিং দেখার সুযোগ হল, দলের জয়ও। ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতার কাছে হারের পর ঘরের মাঠে ঘুরে দাঁড়াল সুপার জায়ান্টসরা।
টস জিতে রান তাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লখনউ ক্যাপ্টেন লোকেশ রাহুল। এ বারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম ধারাবাহিক চেন্নাই সুপার কিংসের ব্যাটিং আক্রমণ। বিশেষ করে বলতে হয় শিবম দুবের কথা। প্রথমে ফিল্ডিং করলে তিনি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবেই নামেন এবং দুর্দান্ত ইমপ্যাক্ট ফেলেছেন বেশ কিছু ম্যাচে। এ দিন অবশ্য চেন্নাইয়ের ব্যাটিং এলোমেলো পরিস্থিতিতে ছিল। তবে রবীন্দ্র জাডেজার হাফসেঞ্চুরি, শেষ দিকে মইন আলি ও ধোনির ক্যামিও ইনিংসে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছয় চেন্নাই সুপার কিংস।
লোকেশ রাহুল ও কুইন্টন ডি’কক ওপেনিং জুটির দুর্দান্ত শুরু। চেন্নাইকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দিতে থাকে। ওপেনিং জুটিতেই যোগ হয় ১৩৪ রান। ৫৪ রানে ফেরেন কুইন্টন। সুপার জায়ান্টস শিবির আশা করছিল, ক্যাপ্টেন সেঞ্চুরির ইনিংস খেলবেন। পরিস্থিতি, সম্ভাবনা দুই-ই ছিল। তবে জাডেজার অনবদ্য একটা ক্যাচ সেই স্বপ্নে জল ঢেলে দেয়। ৮৫ রানে ফেরেন ক্যাপ্টেন। ১৬১ রানে ২ উইকেট হারায় লখনউ। নিকোলাস পুরান ও মার্কাস স্টইনিস ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন। এক ওভার বাকি থাকতেই ৮ উইকেটে জয় লখনউ সুপার জায়ান্টসের।