বজবজ: মধ্য রাতের ঘণ্টা দুয়েকের বৃষ্টিতে জলমগ্ন মহেশতলা ও বজবজের বিভিন্ন ওয়ার্ড। বেলা গড়াতে বজবজে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও জলে ভাসছে মহেশতলার বিভিন্ন ওয়ার্ড। ক্ষুব্ধ মহেশতলার বাসিন্দারা।
৩৫টি ওয়ার্ড নিয়ে মহেশতলা পুরসভা। আর বজবজ পুরসভা রয়েছে ২০টি ওয়ার্ড। রবিবার রাত দুটো নাগাদ বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির জেরে ভোররাত থেকেই জলমগ্ন হতে দুই পুর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড। দু-একটি ওয়ার্ড বাদে বজবজে সাধারণত জল জমে না। কিন্তু ভারী বর্ষণের সঙ্গে রাতে গঙ্গায় ভরা কোটালের কারণে পুরএলাকার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও বেলা গড়াতে ধীরে ধীরে জল নামতে শুরু করে। অন্য দিকে এখনও জলে ভাসছে মহেশতলার বিভিন্ন এলাকা। এমনিতেই সামান্য বৃষ্টিতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে মহেশতলার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড। পুর এলাকার প্রধান সমস্যা নিকাশী ব্যবস্থা। ফলে রাতভর ভারী বৃষ্টিতে সেই জল উপচে পড়ে ভাসিয়ে দিয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বেশ কিছু এলাকায় বাসিন্দাদের ঘরে জল ঢুকে যায়। মহেশতলার পুরসভার পিছনেই ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের জগতলা অঞ্চল সামান্য বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। তেমনই বাটানগর, সুকান্ত পল্লি, ব্যানার্জি পাড়া, ব্যানার্জি হাট, মেমানপুর, চকমীর-সহ বহু জায়গায় জল জমে রয়েছে। চকমীরের নতুন পল্লিতে গৃহস্থ বাড়িতে জল ঢুকেছে। ঘরের মেঝেয় কিলবিল করছে সাপ-কেঁচো। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। কাউন্সিলর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন বলে জানান।
অন্য দিকে, কোটাল ও রাতের ভারী বৃষ্টির কারণেই বজবজ পুরসভার বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমেছে বলে জানান পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, ‘বজবজ পুরসভার দু-একটি ওয়ার্ড ছাড়া জল সেভাবে জমে না। তবে একদিকে গঙ্গায় কোটাল সঙ্গে মাঝরাতে ভারী বষ্টিতে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে জল জমে যায়। বেলা বাড়তেই সেই জল নেমে গিয়েছে। দু-একটি জায়গায় জল থাকায় পাম্প বসানো হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।’ মহেশতলা পুরসভার তরফে এলাকায় জল নামানোর জন্য বেশ কয়েকটি জায়গায় পাম্প বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে জল কেন জমছে তা নিয়ে মুখে কুলুপ পুর-কর্তৃপক্ষের।