তারুণ্যে সমৃদ্ধ মহামেডানের বিরুদ্ধে জয়লাভ অতটাও সহজ হবে না। ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচে নামার আগে বলেছিলেন মোহনবাগান কোচ বাস্তব রায়। মেহরাজুদ্দিনের মহামেডান লড়াই দিলেও, তিন পয়েন্ট অর্জন করল মোহনবাগান। ৩-১ গোলে হারিয়ে ডুরান্ডের মিনি ডার্বি জয় বাস্তব রায়ের দলের। শুক্রবার মধ্যরাতে হেড কোচ জোসে মোলিনা শহরে এসে স্বস্তিতে কাটাতে পারবেন।
দলগত একতা নিয়ে খেলা মহামেডানকে শুরু থেকেই চাপে রেখেছিল মোহনবাগান। প্রথমার্ধে দুই দলই বেশ কিছু সুযোগ পায়। ৮ মিনিটে কিয়ানের সেন্টার পেয়ে সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ সুহেল ভাট। ২২ মিনিটে বক্সের বাইরে মোহনবাগানের লিস্টন কোলাসোকে ফাউল করেন মহামেডানের জোসেফ। ফ্রি কিক পেয়ে দুর্দান্ত গোল করেন লিস্টন। ২৭ মিনিট আবারও সুযোগ পায় সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। আশিস রাইয়ের পাস থেকে কিয়ানের শট গোলপোস্টে লাগে। গোটা ম্যাচ জুড়ে সুযোগ যা পেয়েছে কিয়ান-অনিরুদ্ধরা তাতে আরও বড় ব্যবধানে জয় আসতে পারত। ৪৩ মিনিটে তাঙ্গভা রঘুইয়ের আপুইয়াকে বাধা দিতে গেলে হাতাহাতি শুরু হয়। ফলে সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হল আপুইয়াকে। তিনি ঢুঁসো মারেন মহামেডানের অধিনায়ক দীনেশ মিতেইকে। ঘটনাহ হলুদ কার্ড দেখানো হয় মহামেডানের রঘুইকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফের সুযোগ পায় বাগান। থাপার শট আটকে দেন মহামেডান গোলরক্ষক শুভজিৎ ভট্টাচার্য। ৫০ মিনিটে সমতায় ফেরে মহামেডান। লালথানকিমার শট বিশাল বাঁচিয়ে দেয়। সেখান থেকে বল পেয়ে দীপকের পাস থেকে গোল করে অ্যাশলে কোলি। ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যায় মোহনবাগান। একক দক্ষতায় তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে সুহেল ভাটকে বল দিলেন লিস্টন কোলাসো। ৬৩ মিনিটে লিস্টনের পাস সুহেলের শট বাঁচাতে ব্যর্থ মহামেডান গোলকিপার। ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন সুহেল। ৬৪ মিনিটে ফের শট নেন সুহেল, বিপক্ষের বক্সে লেগে ফিরে আসে।।ম্যাচের শেষ মূহুর্তে লিস্টনকে বক্সের ভিতরে ফাউল করেন দীনেশ মিতেই। পেনাল্টি পেয়ে ৩-১ গোলের ব্যবধান বাড়িয়ে জয়লাভ করল মোহনবাগান।

