বর্জ্য দিয়ে আয় ও কর্মসংস্থান বাড়াচ্ছে মধ্যমগ্রাম পুরসভা

নিজস্ব প্রতিবেদন, মধ্যমগ্রাম: বাড়ি বর্জ্যকে পৃথকীকরণ করে তার থেকে জৈব সার তৈরির মাধ্যমে আয় বাড়াচ্ছে মধ্যমগ্রাম পুরসভা। শুধু আয়ই নয়, সেখানে কর্মসংস্থানও হচ্ছে। পরীক্ষামূলক ভাবে করা এই কাজে সাফল্য আসায় আগামী দিনে আরও বড় আকারে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে মধ্যমগ্রাম পুরসভা। মধ্যমগ্রাম পুরসভার এহেন উদ্যোগ অন্যান্য পুরসভাকে পথ দেখাচ্ছে বলেই মত অনেকের।
বাড়ির বর্জ্য নিয়ে যখন অনেক পুরসভার কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে, তখন মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকার বাড়ির নোংরা প্রসেসিং করে প্রায় বছর দুই ধরে আয় বাড়াতে শুরু করেছে। এর ফলে পুরএলাকা যেমন পরিষ্কার থাকছে, তেমনই নোংরা বর্জ্য থেকে জৈব সারও তৈরি হচ্ছে। যা রাসায়নিক সারের তুলনায় স্বাস্থ্যসম্মত বলেই দাবি। মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ বলেন, ‘২৬ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে বর্জ্য দিয়ে আমরা পরীক্ষামূলক ভাবে কাজটি শুরু করেছিলাম। সাফল্য আসায় মধ্যমগ্রামের দিকবেড়িয়ায় আমাদের ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বড় আকারে এই প্রকল্প শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
তিনি জানান, ওই দু’টি ওয়ার্ডের বর্জ্য নিয়ে গঙ্গাপুরে ফেলা হচ্ছে। সেখানে লোক মারফত কঠিন ও পচনশীল বর্জ্য আলাদা করা হচ্ছে। কঠিন বর্জ্যের মধ্যে লোহা, কাগজ, কাঁচভাঙা ইত্যাদি গুলি পুরসভা বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করছে। অন্যদিকে, পচনশীল বর্জ্যগুলি বিভিন্ন বেডে রেখে দেওয়া হচ্ছে। সেগুলি সময়ের সঙ্গে প্রসেসিং করা হয়। ৪২-৪৫ দিনের মধ্যে জৈব সার তৈরি হয়। এই সার ১০ টাকা কিলো দরে বাজারে বিক্রি করছে পুরসভা। পাশাপাশি এই কাজ করার জন্যা পুরুষ ও মহিলা সমেত ২০-২৫ জনের কর্মসংস্থান করা গিয়েছে বলে জানান তিনি। পুরপ্রধান আরও জানান, প্রায় দুই বছরে সব খরচ বাদ দিয়ে কঠিন বর্জ্য থেকে দু’ লক্ষ ৩০ হাজার ও জৈব সার থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পুরসভার আয় হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

eighteen − 7 =