এখন যেন কোনও টার্গেট আর টার্গেটই নয়৷ আর যতক্ষণ না ম্যাচ শেষ হচ্ছে কিছুই অনুমান করা যাচ্ছে না৷ অবশ্যই যদি হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা থাকে তবে এবারের আইপিএল ম্যাচ না দেখাই ভালো৷ যত চমক যেন লুকিয়ে থাকছে শেষ পাঁচ ওভারের জন্য৷ আজও তার ব্যতিক্রম হল না৷রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কায় ম্যাচ জেতানোর পর এখন আর কোনও লক্ষ্যই সুরক্ষিত নয়! রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর বনাম লখনউ সুপার জায়ান্টস ম্যাচও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে শেষ হল। এক সময় মনে হয়েছে অ্যাডভান্টেজ আরসিবি। আবার মুহূর্তেই বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। অনবদ্য় একটা ম্যাচ। টাইটান্স বনাম গুজরাটের মতো না হলেও রোমাঞ্চ তৈরি হল অনেকটাই। ব্য়াকফুটে থেকেও অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিল লখনউ সুপার জায়ান্টস। সামনে ২১৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। পাওয়ার প্লে-তে মাত্র ৩৭ রানে ৩ উইকেট হারানো। সেখান থেকে ম্যাচ কার্যত আরসিবির নিয়ন্ত্রণেই মনে হয়েছিল। মার্কাস স্টইনিস ৩০ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলে লখনউয়ের সম্ভাবনা বাড়ান। স্টইনিস, রাহুল ফিরতেই ফের চাপে লখনউ। কিন্তু নিকোলাস পুরানের ইনিংস ম্যাচে ফেরায় লখনউকে। মাত্র ১৯ বলে ৬২ রানে ফেরেন পুরান। তিনি আউট হলেও আয়ুষ বাদোনি-উনাদকাট দুর্দান্ত পার্টনারশিপ গড়েন। তবে হতাশাজনক আউট আয়ুষের। ছয় মারতে গিয়ে হিট উইকেট। বল বাউন্ডারির বাইরে, হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হল আয়ুষকে। এ বার ঘরের মাঠেও হার আরসিবির। শেষ বলে মাত্র ১ উইকেটে জয় সুপার জায়ান্টসের।