কলকাতা: জামাই বলে কথা! জামাইষষ্ঠীতে প্রসাদ, মিষ্টি, আম, জমিয়ে পাঁঠার মাংস, মাছ, দই খাওয়ানো হবে না , তাই কখনও হয়?
কিন্ত বিধায়ক জামাই যে সংশোধনাগারে! বিচারাধীন বন্দি তিনি। তাই বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলার সময় বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার জন্য প্রসাদ, লুচি, ফল ও মিষ্টি এসেছিলেন স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু আইনি ‘গেরো’ ষষ্ঠীর খানা আর খাওয়া হল না তাঁর। সেই খাবার খেতেই দেওয়া হল না তৃণমূল বিধায়ককে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে । বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছিল বড়ঞার বিধায়ককে। এদিন ছিল জামাইষষ্ঠী । তাই অনেকেই বলছেন, হয়তো ষষ্ঠীপুজোর প্রসাদ আনা হয়েছিল বাড়ি থেকে। যদিও জীবনের বাড়ির লোক, সে ব্যাপারে মুখ খোলেননি। সেই খাবার খেতে জীবনকে অনুমতি দেয়নি পুলিশ।
কেন? সূত্রের খবর, বন্দিকে এভাবে কোনও খাবার দেওয়ার অনুমতি নেই। তাই নিয়মের কারণেই জীবনকে খেতে দেওয়া হয়নি লুচি-ফল!
নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানোর পরেই গত ৪ এপ্রিল মুর্শিদাবাদে জীবনের বাড়ি-অফিসে হানা দেয় সিবিআই। দীর্ঘ ৬৫ ঘণ্টা জেরা-তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেই সময় জীবন তাঁর দু’টি মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন। মোবাইল খুঁজে পেতে কালঘাম ছোটে সিবিআই অফিসারদের। তারপর ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয় জীবনকে।
পুকুর থেকে তাঁর মোবাইল ফোন দু’টি উদ্ধারের পরেই হায়দরবাদের কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ পুকুরে থাকা মোবাইল ফোন দু’টি থেকে আদৌ কোনও তথ্য মিলবে কিনা সে সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে সেই আশঙ্কা অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। বিধায়কের ফোন থেকে ১০০ শতাংশ তথ্যই উদ্ধার করে গেছে। যা থেকে নিয়োগ দুর্নীতিতে বিধায়কের যোগ স্পষ্ট বলেই দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনকী, ওএমআর শিট বিকৃত করার ঘটনাতেও তাঁর যোগ রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সিবিআই সূত্রে আরও খবর, জীবনের সুপারিশেই চাকরি হয়েছিল এসএলএসটিতে। সেই সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার করা হয়েছে বলেও সিবিআই দাবি করেছে।