কমনওয়েলথে পদকের লড়াই থেকে ছিটকে গেলেন লভলিনা

সারা দেশ তার থেকে কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক আশা করেছিল। কিন্তু সেটা দূর অস্ত, একটা ব্রোঞ্জ পদকও এবার জুটল না লভলিনার। আসলে অলিম্পিকে পদক জয়ের পর ব্যক্তিগত জীবনে কিছুটা ওঠা নামার মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। যতই পেশাদার বলা হোক, সেই সমস্যার কিছুটা ছাপ হয়তো খেলার ওপর পড়েছে।
কমনওয়েলথ গেমস শুরুর ঠিক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় বক্সিং ফেডারেশনের কর্তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছিলেন লভলিনা বড়গোহাঁই। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, গেমস ভিলেজে তাঁকে মানসিকভাবে নির্যাতিত করা হচ্ছে। অলিম্পিক্স পজদকজয়ী ভারতের মহিলা বক্সারের আশঙ্কার কেন্দ্রে ছিলেন তাঁঁর ব্যক্তিগত কোচ সন্ধ্যা গুরুং, যাঁকে গেমস ভিলেজে ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছিল না।
ফলে তাঁর টুর্নামেন্টের প্রস্ততিতে বাধা পড়ছিল বলে দাবি করেছিলেন লভলিনা। মহিলাদের ৭০ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে ওয়েলসের রসি এক্লেসের বিরুদ্ধে স্প্লিট ডিসিশনে পরাস্ত হলেন লভলিনা। ভারতের তারকা বক্সার হারলেন ২-৩ ব্যবধানে। যেখানে মহম্মদ হুসামুদ্দিন, নিতু ঘাংঘাসে, নিখাত জারিনেরা পদক নিশ্চিত করে ফেলেছেন, সেখানে লভলিনার ছিটকে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা।

তারকা বক্সারের অভিযোগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের নির্দেশে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয় সর্বভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। তারা আপৎকালীন তৎপরতায় লভলিনার কোচের জন্য কমনওয়েলথ গেমস ভিলেজে ঢোকার অনুমতি আদায় করে নেয় আয়োজক সংস্থার কাছ থেকে। এত কিছুর পরেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না লভলিনা। জাতীয় বক্সিং কোচ ভাস্কর ভাট জানিয়েছেন লভলিনার কাছ থেকে পদক আশা করেছিলেন সকলে। কিন্তু নিজের মুভমেন্ট সঠিক জায়গায় নিয়ে যেতে পারেনি তিনি। বেশ কিছুক্ষণ ভ্রান্তি হয়েছিল, যা নিয়ে লভলিনা নিজেও খুশি নন। অনেকেই মনে করছেন টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগেই তিনি নিজের ফোকাস হারিয়ে ফেলেছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − eight =