কলকাতা: একদিকে প্রেম নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে চরম আর্থিক সংকট, সব মিলিয়েই তীব্র অবসাদে ভুগছিলেন উঠতি মডেল বিদিশা দে মজুমদার (Model Death Mystery)। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। নাগেরবাজার থানার পুলিশ বিদিশার মৃত্যুর তদন্ত করছে।তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, আয়ের থেকে খরচ অনেক বেশি ছিল বিদিশার। হাই প্রোফাইল লাইফস্টাইল মেনে চলতেন তিনি। ফলে অর্থ সংকট একটা সময় চরমে ওঠে।
তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিয়েবাড়িতে কিংবা ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কোনও অনুষ্ঠানে মডেল হিসেবে কাজ করতেন বিদিশা। পাশাপাশি কিছু ফটোশ্যুট করতেন। ইদানীং বিয়ের মরশুম না থাকায় হাতে তেমন কাজ ছিল না। মডেলিং থেকেও যে প্রচুর রোজগার হত তেমন নয়। এদিকে বিদিশার খরচের হাত ছিল বেশ লম্বা।
বুধবার রাতে নাগেরবাজারের রামগড় কলোনির একটি ফ্ল্যাট থেকে বিদিশার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় । তদন্তে নেমে পুলিশ বিদিশার ছ’জন বন্ধু ও বান্ধবীকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বিদিশার ফোনও ঘাঁটাঘাঁটি করে পুলিশ। তার থেকেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন, মাস তিনেক ধরে অনুভব বেরা নামে এক জিম ট্রেনারের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিদিশা। অনুভবকে নাকি ভালোবাসতেন বিদিশা। তাঁকে বিদিশা প্রেমের প্রস্তাব দিলেও অনুভব তা নাকচ করে দিয়েছিলেন। এই দাবি আদৌ সত্যি কি না, তা যাচাই করতে নোটিস পাঠিয়ে থানায় তলব করা হয় অনুভবকে। নাগেরবাজার থানার আইসি ও দমদমের অ্যাসিট্যান্ট কমিশনারের উপস্থিতিতে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুভবকে। সূত্রের খবর, তাঁর সঙ্গে বিদিশার কতদিনের যোগাযোগ, তাঁদের মধ্যে কী ধরনের সম্পর্ক ছিল এসব জিজ্ঞাসা করে পুলিশ।
জেরায় অনুভব জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে পরিচয়ের আগে থেকেই অবসাদে ছিলেন বিদিশা। এমনকি আগে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি । তিনি বারবার একথাও বলেছেন, বন্ধুত্ব ছাড়া আর কোনও সম্পর্ক ছিল না তাঁর আর বিদিশার মধ্যে। যদিও বিদিশার বান্ধবীদের বয়ানে বলছে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল। এমনকি এক বান্ধবীর সঙ্গে অনুভবের কলরেকর্ডও সামনে এসেছে, যাতে শোনা যাচ্ছে সেই বান্ধবী অনুভবকে দোষারোপ করছেন, অনুভব বিদিশার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে পারছেন অথচ ভালবাসা নেই বলে দাবি করছেন!