লটারিতে ১ কোটি পেয়েছিলেন কেষ্ট? প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে বোলপুরে তদন্তে সিবিআই

মিলন গোস্বামী

গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত আদালতের নির্দেশে আসানসোলের সংশোধনাগারে বন্দি। তদন্তে নতুন করে গতি আনতে সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও। শুক্রবার সকালে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে বীরভূমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সিবিআইয়ের গোরুপাচার কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সহ তিনজন সিবিআই আধিকারিক। সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প অফিস রতনকুঠি ঢোকার আগে শান্তিনিকেতন রোডের ওপর রাহুল লটারি এজেন্সি নামে একটি লটারির কাউন্টারে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকেরা। এই লটারি কাউন্টারের মালিককে একপ্রকার জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি রতনকুঠি অস্থায়ী ক্যাম্প অফিসে লটারি সংক্রান্ত নথি নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন সিবিআই আধিকারিক বৃন্দ। গোরুপাচার কাণ্ডে তদন্ত প্রক্রিয়ায় নেমে সিবিআইয়ের স্ক্যানারে উঠে আসে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ডিয়ার লটারির ১ কোটি টাকার প্রাইজ। গতবছর ডিসেম্বর মাসে ৭ তারিখে অনুব্রত মণ্ডল ডিয়ার লটারিতে ১ কোটি টাকা প্রাইজ পান। সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ আসে, এই লটারি অন্য একব্যক্তির কাছে কিনে অনুব্রত গোরু পাচারের ব্ল্যাকমানি সাদা করে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এদিন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা রাহুল লটারি এজেন্সি কাউন্টারে হানা দেয়। কারন, যে ব্যক্তি এই লটারি টিকিট কিনেছিলেন তিনি রাহুল লটারি এজেন্সির কাউন্টারে কেনেন। পরে অনুব্রত মণ্ডল বোলপুরেই গাঙ্গুলি লটারি এজেন্সি কাউন্টারের মালিক বাপি গঙ্গোপাধ্যায়ের মাধ্যমে ক্যাশ করায়। এর দিনকয়েক আগে নিজাম প্যালেস সিবিআইয়ের দপ্তরে ডেকে জিজ্ঞাবাদ করা হয়েছিল বাপি গাঙ্গুলিকে। শুক্রবার বোলপুরে এসে ফের লটারি নিয়ে সিবিআই আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করলেন লটারি সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। তবে রতন কুঠিতে ফের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মধ্যক্ষ কেরিম খানকে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ইলামবাজার ব্লক প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি জাফারুল ইসলামকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

14 − 1 =