পাওয়ার প্লে-তে পাঁচ উইকেট নিয়েও হার!

একটা ওভার ম্যাচ ঘোরাতে পারে। একটা ডেলিভারি, ক্যাচ, মিস। সব কিছুই। কিন্তু পাওয়ার প্লে-তেই প্রতিপক্ষর পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরও হার! আপাতত ক্যালকুলেটর হাতে কেকেআর। এখান থেকে সর্বাধিক ১৫ পয়েন্ট অবধি যেতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স। সুতরাং, প্লে-অফ শুধু নিজেদের হাতে নেই। বাকি দলের পারফরম্যান্সের উপরও নাইট রাইডার্সের ভাগ্য নির্ভর করবে। এই ম্যাচ এবং বাকি দু-ম্যাচ জিতলে অন্য দলের উপর নির্ভরশীল হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ ছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি, বৈভব অরোরার সেই ওভারই কি ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়াল?

গত ম্যাচেও এমন পরিস্থিতিতে পড়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্লে-অফে ছিটকে যাওয়া রাজস্থানের বিরুদ্ধে মাত্র ১ রানে জিতেছিল। কিন্তু এ দিনও ভুল শোধরানো গেল না। ছোট ছোট মুহূর্ত বড় ভূমিকা নিল। বোর্ডে ১৭৯ রান তুলেছিল কেকেআর। পিচের নিরিখে খুব একটা সহজ টার্গেট নয়। বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর! কেকেআরের এখানেই যেন কিছুটা হলেও গাছাড়া মনোভাব দেখা গেল। আত্মতুষ্টি কি ভিড় করেছিল?

ইনিংসের ১১তম ওভারে বৈভব অরোরা বোলিংয়ে। লং অফ বাউন্ডারি অংকৃষ ক্যাচটা নিলে? ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ইনিংস ওখানেই ইতি। সেই ওভারে ৩০ রান তোলেন বেবি এবি ডিওয়াল্ড ব্রেভিস। ম্যাচটাকেও যেন ঘুরিয়ে দিয়ে যান। এরপরও সুযোগ এসেছে। রিঙ্কু সিংয়ের ক্যাচগুলি, ম্যাচে রেখেছিল কেকেআরকে। কিন্তু রমনদীপ সিংয়ের মতো দুর্দান্ত ফিল্ডারের একটা খারাপ থ্রো, রান আউটের সুযোগ হাতছাড়া হয় কেকেআরের। শেষ ওভারে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৮ রান। ক্রিজে তখনও ধোনি। প্রথম ডেলিভারিতেই ডিপ মিড উইকেটে ছয় মারেন। আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি কেকেআর।

রিঙ্কু সিংকে বাদ দিলে, ফিল্ডিংয়ে কেকেআরের গাছাড়া মনোভাব বেশ কয়েক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে। তেমনই জায়ান্ট স্ক্রিনে ধরা পড়েছে ক্যাপ্টেন অজিঙ্ক রাহানের অসহায় চাহনিও। কারণ, ক্রিজে ধোনি থাকা মানে শেষ ওভারে যা কিছু হতে পারে, সেটা কারও বুঝতে অসুবিধা হয় না। হলও সেটাই। প্লে-অফ থেকে ছিটকে যাওয়া চেন্নাই সুপার কিংসই খাদের কিনারায় ঠেলে দিল কেকেআরকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

12 − 10 =