পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে চিটফান্ড সংস্থা নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৎপরতায় কাগজপত্র ফেলে রেখেই পালান তিন ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটে বেহালার শখেরবাজার এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় মঙ্গলম গ্রুপের চিটফান্ড সংস্থার অফিস ছিল। তবে এখন এই অফিসটি পরিত্যক্ত অবস্থাতেই পড়ে। দীর্ঘদিন ধরেই একই অবস্থায় রয়েছে এই অফিস তাও জানান স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার কাকভোরে আনুমানিক ৩টে-৪টে নাগাদ সন্দেহভাজন তিন ব্যক্তিকে ওই পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ের আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা। এরপরই ওই বিল্ডিংয়ের নীচ থেকে বস্তাবন্দি কিছু নথি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। সেটি দেখা মাত্রই তাদের বাধা দেন স্থানীয় লোকজন। এরপরই তারা সেই সব নথিপত্র সেখানে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। বিল্ডিংয়ের নীচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকে চিটফান্ড সংস্থার কাগজপত্র। নথিগুলি হল মূলত, যাঁরা এই চিটফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন, তাঁদের কাগজপত্র। কিন্তু কী কারণে অজ্ঞাতপরিচয় ওই তিন ব্যক্তি এই নথিপত্র নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল, সেই বিষয়টি এখনও অস্পষ্ট। এলাকার বাসিন্দারা এরপরই খবর দেন পুলিশে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে যখন সারদা গোষ্ঠীর চিটফান্ড কেলেঙ্কারির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে, সেই সময়ই এই মঙ্গলম গ্রুপের নামও উঠে আসে। ঠাকুরপুকুর-ডোকা এলাকায় প্রায় ১৩০ জন বিনিয়োগকারীর থেকে ২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওই চিটফান্ড সংস্থার বিরুদ্ধে। এদিকে মঙ্গলম গ্রুপের ডিরেক্টর রুনা শিকদারকে ২০১৪ সালে বেহালার বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।