খানিক স্বস্তি! সুকন্যার হাজিরা সংক্রান্ত নির্দেশ ফিরিয়ে নিলেন বিচারপতি

কলকাতা: হাই কোর্টে তাঁর হাজিরার নির্দেশ হয়েছিল বুধবারই।বৃহস্পতিবার সকালে হাই কোর্টে আসার জন্য বোলপুর থেকে রওনা হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। তবে শেষ পর্যন্ত মিলল স্বস্তি। এদিন শুনানিতে পুরনো নির্দেশ ফিরিয়ে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। জানান, তাঁর হাজিরার দরকার নেই। পাশাপাশি জানিয়ে দেন, সুকন্যার নিয়োগ নিয়ে আলাদা করে মামলা হলে, তা শুনবে আদালত।

আদালতে টেট সংক্রান্ত মামলা চলছে। তার সঙ্গেই অতিরিক্ত হলফনামা জুড়ে দিয়েছিলেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। বুধবার ওই হলফনামাটি আদালত গ্রহণ করে। তার ভিত্তিতেই সুকন্যা-সহ ছ’জনকে হাজিরা দিতে বলেছিল হাই কোর্ট। কিন্তু বৃহস্পতিবার ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, যদি সুকন্যা-সহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আলাদা করে মামলা করা হয়, তবে তা শুনতে পারে আদালত। অবশ্য নির্দেশ দিলেও বিচারপতি এর কোনও কারণ ব্যাখ্যা করেননি।

এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এদিন সরব হন তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, সুকন্যার বিরুদ্ধে শুধু একটা অতিরিক্ত হলফনামার ভিত্তিতে কাল থেকে একটা প্রচার চলছে। বিচারপতির ওই হলফনামাটিকে এতটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল যে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে দিয়ে তাঁকে আদালতে আনানো হল। মেয়েটি আজ কাগজপত্র নিয়ে এসেওছিল আদালতে। অথচ সে নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও পেলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার হচ্ছিল, সেটার জবাব দেওয়ার সুযোগও তাঁকে দেওয়া হল না। আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান দিয়েই বলছি, এটা কাম্য নয়।

যদিও আইনজীবীদের একাংশের অনুমান করেছেন। তাঁরা মনে করছেন, সুকন্যা শিক্ষিকা হিসেবে প্রায় ১০ চাকরি করছেন। সে কারণে তাঁর নিয়োগ ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার ভিত্তিতে হয়ে থাকতে পারে। আদালতে এখন ২০১৪ সালের পরীক্ষার্থীদের মামলা চলছে। তাই সুকন্যার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ওই বিচারাধীন মামলাগুলির সঙ্গে জুড়তে চাননি বিচারপতি।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সুকন্যার বিরুদ্ধে শুধু একটা অতিরিক্ত হলফনামার ভিত্তিতে একটা প্রচার চলছে। মেয়েটি আজ কাগজপত্র নিয়ে এসেওছিল আদালতে। অথচ নিজের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও পেলেন না। আদালতের প্রতি পূর্ণ সম্মান দিয়েই বলছি, এটা কাম্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

fifteen − five =