ডুরান্ড কাপে জয়ের ধারা বজায় রাখল মোহনবাগান। কলকাতা মিনি ডার্বি দিয়ে অভিযান শুরু করেছিল সবুজ মেরুন। মহমেডান স্পোর্টিংকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল তারা। জোড়া গোল করেছিলেন লিস্টন কোলাসো। বাকি একটি গোল সুহেল করেছিলেন। তাতেও অবদান ছিল লিস্টন কোলাসোর। বিএসএফের বিরুদ্ধে এ দিন শুধু জয়ই নয়, গোল পার্থক্য বাড়িয়ে নেওয়াও লক্ষ্য ছিল মোহনবাগানের। প্রত্যাশা কিছুটা পূরণ হল। ৪ গোলে জিতলেও একঝাঁক সুযোগ নষ্টের আপশোস থাকছে সবুজ মেরুন শিবিরে।
প্রথম ম্যাচে সহকারী বাস্তব রায় ছিলেন মোহনবাগানের টেকনিক্যাল এরিয়ায়। হেড কোচ হোসে মোলিনা মরসুমের প্রথম ম্যাচে থাকলেন। আর দল জিতল ৪-০ ব্যবধানে। বড় জয়ে ইতিবাচক দিকই বেশি। গত ম্যাচে রেড কার্ড দেখেছিলেন আপুইয়া। কার্ড সমস্যায় তাঁকে না পাওয়া গেলেও অসুবিধা হয়নি। বড় ইতিবাচক দিক, চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন মনবীর সিং। শুধু তাই নয়, মাঠে ফিরেই গোলও করেছেন।
বিএসএফের বিরুদ্ধে মনবীরের গোলেই খাতা খোলে মোহনবাগান। প্রথমার্ধে একটিই গোল। হতাশার কারণ এখানেই। অনিরুদ্ধ থাপা বেশ কিছু সুযোগ পেয়েছিলেন। স্কোর লাইনে তার ছাপ পড়েনি। দ্বিতীয়ার্ধে আসে বাকি তিন গোল। ৫৩ মিনিটে লিস্টন কোলাসোর প্রথম গোল। ৫ মিনিটের মধ্যে দ্বিতীয় গোল করেন লিস্টন। স্কোরশিটে নাম লেখান পরিবর্ত হিসেবে নামা সাহাল আব্দুল সামাদ। ৬১ মিনিটে সাহালের গোল।
সাহালের মতো পরিবর্ত হিসেবে নেমে গোলের সুযোগ এসেছিল আর একজনের কাছেও। শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত একটা শট নিয়েছিলেন আলবার্তো রড্রিগেজ। বিএসএফ গোলকিপার কোনওরকমে তা আটকে দেন। নয়তো পাঁচ গোলেই ম্যাচ শেষ করতে পারত মোহনবাগান। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডায়মন্ডহারবার এফসির বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান।

