অবাক হওয়ার মতোই। এটাই সত্যি। ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য ৩০ জনের নাম মনোনীত হয়েছে। অথচ সেই তালিকায় নেই সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী লিওনেল মেসির নাম। দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিশ্ব ফুটবলে এমন নজিরবিহীন ঘটনা। শেষ বার ২০০৫ সালে মেসির কেরিয়ারের শুরুর দিকে এমন হয়েছিল। গত বছরও তুখোড় ছন্দে থাকা পোল্যান্ডের স্ট্রাইকার রবার্ট লেওয়ানডস্কিকে ছাপিয়ে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন লিওনেল মেসি। প্যারিস স্যঁ জ্যঁ-তে যোগ দেওয়ার পর এই মরসুমে মনোনয়নই পেলেন না।
২০১৯ সালেও এই পুরস্কার জিতেছিলেন মেসি। কোভিডের কারণে ২০২০-তে এই পুরস্কার স্থগিত রাখা হয়। এবার শুধু মেসিই নন, ব্যালন ডি’অরের মনোনয়ন পাননি ব্রাজিলের তারকা ফুটবলার নেইমারও।
২০২১ সালে রেকর্ড গড়ে সপ্তম ব্যালন ডি’অরটি উঠেছিল আর্জেন্টাইন মহাতারকার হাতে। সেখানে চলতি বছর প্রাথমিক তালিকাতেই ঠাঁই হল না তাঁর। তবে শুধু মেসির না থাকাই নয়, এবারের তালিকা বেশ অবাক করা। আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের পাশাপাশি প্রাথমিক তালিকায় নাম নেই নেইমার, টনি ক্রুস, ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের মতো তারকাদেরও। তাহলে কারা রয়েছেন তালিকায়? প্রত্যাশিত ভাবেই নাম আছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর। এছাড়াও জায়গা করে নিয়েছেন করিম বেঞ্জেমা, রবার্ট লেওনডস্কি, মহম্মদ সালাহ, কিলিয়ান এমবাপে, সাদিও মানে, থিবো কুর্তোয়া, এর্লিং হালান্ড-সহ অন্যান্যরা। ১৭ অক্টোবর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। সেদিনই জানা যাবে, এবারের সেরা তারকা কে।
গত বছর মেসির হাতে ব্যালন ডি’অর ওঠার পর থেকেই পুরস্কারের স্বচ্ছ্বতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। বিশেষত, লেওনডস্কির সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে সরব হয় জার্মান সংবাদমাধ্যম। এরপরই ব্যালন ডি’অরের নিয়ম বদলায়। পুরস্কারের নির্ধারিত সময় জানুয়ারি-ডিসেম্বরের পরিবর্তে আগস্ট-জুলাই করা হয় ইউরোপিয়ান ফুটবলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। ফলে ২৮ বছর পর আর্জেন্টিনাকে কোপা আমেরিকা জেতানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিলেও ব্যালন ডি’অরের মানদণ্ডে তা গ্রাহ্য করা হয়নি।
তার উপর গত মরশুমটা একেবারেই ভাল কাটেনি মেসির। দীর্ঘদিনের ঘর বার্সেলোনা ছেড়ে পাড়ি জমাতে হয়েছে প্যারিস সাঁ জাঁয়। নতুন ক্লাবের জার্সিতে তেমন নজর কাড়তে পারেননি তিনি। লিগ ওয়ান এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে ৩৩ ম্যাচে মাত্র ১১ গোল করেন তিনি। ২০০৬ সাল থেকে প্রতি বছরই ব্যালন ডি’অরের তালিকায় প্রথম তিরিশে থাকা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিলেন মেসি। তবে এবার সেখানে জায়গা হল না ফুটবলের রাজপুত্রর।