টাইটানিকের মতোই করুণ পরিণতি সাবমেরিন টাইটানের, পিষে মৃত্যু ৫ যাত্রীর

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ টাইটানের মধ্যে জলের চাপে পিষে মৃত্যু হয়েছে ৫ শিল্পযাত্রীর।টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ টাইটানের মধ্যে জলের চাপে পিষে মৃত্যু হয়েছে ৫ শিল্পযাত্রীর। তদন্তে উঠে এল এমন তথ্য। সমুoের যত গভীরে যাওয়া যায় জলের প্রবল চাপ তৈরি হয়। সেই চাপেই পাঁচ অভিযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

৫ দিনের তল্লাশি অভিযানের পর আটলান্টিক মহাসাগরে খোঁজ মিলেছে হারিয়ে যাওয়া টাইটানের। তার মধ্যে যে পাঁচ জন ছিলেন, তাঁরা কেউই বেঁচে নেই, ঘোষণা করেছে আমেরিকার উপকূলরক্ষী বাহিনী। ১১১ বছর আগে ডুবে যাওয়া জাহাজ টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে আটলান্টিকের গভীরে অভিযাত্রীদের নিয়ে ডুব দিয়েছিল টাইটান। সেই জলেই টাইটানিকের মতো মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে সেটির।
টাইটানে ছিলেন ব্রিটেনের কোটিপতি ব্যবসায়ী হামিশ হার্ডিং, পাকিস্তানের ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ এবং তাঁর পুত্র সুলেমান, ওশানগেট সংস্থার মুখ্য আধিকারিক স্টকটন রাশ এবং ফরাসি নাবিক পল হেনরি নারজিওলেট।কানাডার পূর্বে নিউ ফাউন্ডল্যান্ডের উপকূল থেকে অতলান্তিকে ডুব দিয়েছিল টাইটান। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যে ওশানগেট সংস্থার তৈরি ওই ডুবোযানের সঙ্গে সহকারী জাহাজের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। উপকূলরক্ষী বাহিনী থেকে শুরু করে ডুবোযান তৈরির সংস্থা, সব পক্ষই নিশ্চিত করে জানিয়েছে, টাইটানে থাকা কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই। রোবটের মাধ্যমে টাইটানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মিলেছে। টাইটানের ধ্বংসাবশেষ মিলেছে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১৬০০ ফুট দূরে। তবে ধ্বংসাবশেষ কোথায় আছে জানা গেলেও তার কাছাকাছি পৌঁছনো যায়নি। দুর্ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি অত্যন্ত প্রতিকূল বলে জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twenty + 20 =