শেয়ার বাজারে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে আদানি গ্রুপ।গত ২৭ জানুয়ারিতে শেয়ার বাজারে লিস্টেড থাকা আদানি গ্রুপের ১০টি কোম্পানির বাজার মূলধন প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা কমেছে। সূত্রে খবর, ২৪ জানুয়ারিতে যেখানে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ছিল ১৯ লাখ কোটি টাকা, তা ২৭ জানুয়ারিতে কমে হয় ১৫ লাখ কোটি টাকায়। তারই জেরে আদানি গ্রুপের শেয়ারে বিনিয়োগকারীরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দেশের বৃহত্তম প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এলআইসিও রয়েছে এই বিনিয়োগকারীদের তালিকায়। আদানি গ্রুপের শেয়ারে এলআইসি-র মোট বিনিয়োগ ২৭ জানুয়ারি নেমে গিয়েছিল ৬২,৬২১ কোটি টাকায়। এদিকে ২০২৩ এর ২৪ তারিখে এই পরিমাণ ছিল ৮১,২৬৮ কোটি টাকা। আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি পোর্টস-সহ আদানি গ্রুপের আরও বেশ কয়েকটি স্টকে এলআইসি-র বিনিয়োগ রয়েছে। এই স্টকগুলির শেয়ার গত ২ ট্রেডিং সেশনে ১৯ শতাংশ থেকে ২৭ শতাংশ পড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ দুটি ট্রেডিং সেশনে এলআইসি-র ক্ষিতর পরিমাণ ১৮, ৬৪৭ কোটি টাকা।
বিস্তারিত ভাবে দেখতে গেলে আদানি টোটাল গ্যাসে এলআইসি-র শেয়ার ২৪ জানুয়ারি থেকে ৬,২৩৭ কোটি টাকা কমেছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের ক্ষেত্রে রয়েছে ৩,২৭৯ কোটি টাকা। এছাড়া, আদানি ট্রান্সমিশনেও ৩,৩০৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এদিকে অম্বুজা সিমেন্টে ১,৪৭৪ কোটি টাকা, আদানি গ্রিন এনার্জিতে ৮৭১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে এলআইসি-র।
আর এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে মার্কিন ফিন্যান্সিয়াল রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের এক রিপোর্ট।যা সামনে আশার পরই আদানি গ্রুপের শেয়ার হু হু করে পড়ে।
সূত্রে খবর, আমেরিকান ফার্ম হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টের পর আদানি গ্রুপের স্টকগুলি শেয়ার বাজারে ব্যাপক ধাক্কা খায়। কারণ, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টে আদানি গ্রুপের কোম্পানিগুলি নিয়ে মূলত নেতিবাচক রিপোর্ট দেওয়া হয়েছিল। ফলস্বরূপ ব্যাপক ধাক্কা খায় আদানিদের শেয়ার।যদিও আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে সিএফও জুগশিন্দর সিং এক বিবৃতিতে জানান, , ওই রিপোর্ট একেবারে ভিত্তিহীন। পাশাপাশি ইচ্ছাকৃত ভাবেই এই রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয় আদানি গ্রুপের তরফ থেকে। পাশাপাসি আদানি গ্রুপের তরফ থেকে এও জানানো হয়, ওই রিপোর্টে একাধিক ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। যার কোনও ভিত্তি নেই।