সারদা কর্তার তোলাবাজি নালিশে এবার কড়া পদক্ষেপ আদালতের। তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক সুদীপ্ত সেনের চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সারদাকর্তার চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। এদিন শুনানির পর বিষয়টি সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দেয় মুখ্য নগর ও দায়রা আদালত। আর এই ঘটনায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে সুদীপ্ত সেন জেল থেকে লেখা একটি চিঠিতে দাবি করেছিলেন, কাঁথি পুরসভা নগদ ও ড্রাফটে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। কাঁথি পুরসভা এলাকায় সারদা কনক্লেভ প্রকল্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। এই আবাসন গড়ার জন্য অনুমোদন চেয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। অনুমোদন পেতে রসিদে ও বিনা রসিদে কাঁথি পুরসভাকে টাকা দিয়েছিলেন বলে দাবি করেন সুদীপ্ত সেন। এই চিঠিতেই উল্লেখ ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নামও। সেই চিঠি সিবিআইকে পাঠানোর আর্জি আগেই জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। কেন এ মামালায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না সে প্রশ্ন লাগাতার করতে দেখা যায়কুণাল সহ তৃণমূলের তরফ থেকে।
এবার সেই আবেদন কার্যত সিলমোহর পড়ল বলা যায়। এদিকে এই চিঠি নিয়ে গত বছর যখন গোটা রাজ্যে শোরগোল চলছে তখন কাঁথি পুরসভায় সারদার একটি ফাইল নিখোঁজ নিয়ে কোমর বেঁধে তদন্তে নামতে দেখা যায় কাঁথি থানার পুলিশকে। সূত্রের খবর, জেলেই এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সারদা কর্তাকে। এদিকে এ বিষয়ে আগেই তাঁর বক্তব্য স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি যাতে তৃণমূল না ছাড়ি সেই জন্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আমার সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরদিন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।‘