কলকাতা : এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল কিংবদন্তী পরিচালক তরুণ মজুমদারকে। ৯২ বছর বয়সী পরিচালকের কিডনিজনিত সমস্যা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন তিনি।
অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল তাঁর চিকিৎসা করছে। পরিচালকের আরোগ্য কামনা করছে বাংলার শিল্পীমহল। ভারতীয় চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানের জন্য চারটি জাতীয় পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন তরুণ মজুমদার। ৭টি বিএফজিএ ও পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৯০ সালে ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে। উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেন অভিনীত চাওয়া পাওয়া (১৯৫৯) তরুণ মজুমদারের পরিচালিত প্রথম ছবি। ১৯৬০ সালে বানালেন ‘স্মৃতি টুকু থাক’। ১৯৬২ সালে কাচের স্বর্গ বানিয়েছিলেন প্রবাদপ্র তিম এই পরিচালক। এই ছবির জন্যই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। তাঁর অন্যতম হিট ছবি দাদার কীর্তি ও ভালোবাসা ভালোবাসা। এছাড়া তরুণ মজুমদারের অন্যান্য সিনেমাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য পলাতক (১৯৬৩), নিমন্ত্রণ (১৯৭১), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা (১৯৭৮)। এছাড়াও বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলি (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), আপন আমার আপন (১৯৯০) এর মতো চিরকালীন ছবিও বানিয়েছেন তিনি। ২০০৩ সালে তাঁর তৈরি আলো সিনেমাটিও ছিল বিগ হিট।