ব্যারাকপুর : নির্বাচন পরিস্থিতি পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন রাজ্যপাল। ব্যারাকপুর ব্লক-১ অধীনস্থ শ্যামনগর বাসুদেবপুর মোড়ে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখালেন সিপিএম ও গেরুয়া কর্মীরা। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে নদিয়ার দিকে যাবার পথে ২৫ মিনিট আটকে পড়েন রাজ্যপাল। তিনি গাড়ির ভেতরে বসেই বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ শোনেন। বিক্ষোভকারীরা রাজ্যপালের কাছে ৩৫৫ ধারার দাবি জানান। বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী মৌসুমী রায়ের অভিযোগ, সকাল থেকেই বুথ দখল করে তৃণমূল দেদার ছাপ্পা ভোট দিয়েছে। ভোট শুরু হতেই কাউগাছির ৫৭ নম্বর বুথ এজেন্ট সঞ্জীব মিশ্র ও ৫৫ নম্বর বুথ এজেন্ট গৌতম মোদককে মেরে ওরা বুথ থেকে বের করে দিয়েছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই অধিকাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পরিবর্তে সিভিক ভিলেনটিয়ার দেওয়া হয়েছে। মৌসুমী রায় বলেন, রাজ্যপাল একটি হেল্প লাইন নাম্বার দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন। তাছাড়া রাজভবনের শান্তি কক্ষে তিনি অভিযোগ জানাতে বলেছেন। অপরদিকে জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী গোপা দাস বলেন, রাজ্যপালের গাড়ি আটকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দাবি জানালাম। তার অভিযোগ, পোলিং এজেন্টদের মেরে বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রিসাইডিং অফিসাররা বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় পানপুর-কেউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ ও ৩১ নম্বর বুথের কর্মীরা পালিয়েছেন। দেড় ঘণ্টা বাদে নতুন কর্মী এনে ভোট শুরু হয়েছে। এককথায় নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে।